ডেস্ক নিউজ : স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ রোববার থেকে খুলছে দোকান ও শপিংমল। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে দোকান ও শপিংমল। তবে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে বাইরে যেতে হলে লাগবে বিশেষ মুভমেন্ট পাস। সেক্ষেত্রে দোকান ও শপিংমলে যেতেও পুলিশ থেকে এই মুভমেন্ট পাস নিতে হবে।
শনিবার ধোয়ামোছায় ব্যস্ত ছিল মার্কেট কর্তৃপক্ষ। কোনো দোকানি স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মালিক সমিতি। রোববার দোকানপাটের বন্ধ দরজা খুলে যাবে। আবারো সরগরম হবে ক্রেতা বিক্রেতার দর কষাকষিতে।
তবে পুরোনো সেই মুখরতা কতটা ফিরবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। কেননা, স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি পুরোদমে রক্ষা করা হবে বলে জানাচ্ছেন মালিক সমিতি। কেনাবেচা জমজমাট হওয়ার সুযোগ দেখছে না বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
গত শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপণ জারি করে।
এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকার ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ আরোপ করলে একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা সরকারের সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার জন্য মাঠে নামে।
আন্দোলনের মুখে সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। পবর্তীতে করোনায় মৃতের সংখ্যা রেকর্ড পরিমান বাড়তে থাকলে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলে আবারো বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট ও শপিং মল।
তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রি করা যাবে বলে জানানো হয়।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ই এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। তবে তার ধারাবাহিকতা চলে ১৩ই এপ্রিল পর্যন্ত।
এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফয় কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়, যা চলে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। এর পর ২২ এপ্রিল থেকে আরো এক সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধের এই মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২৮শে এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এএমএস/চখ