chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কবর খোঁড়ার লোকও পাওয়া যাবে না: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে কবর খোঁড়ার লোকও পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণপ্রচারণার সময় নগরবাসীর উদ্দ্যেশে এমন মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক।

প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে নগরীর এ.কে.খান মোড়, অলংকার মোড়, নিউ মার্কেট মোড় এবং রিয়াজউদ্দিন বাজারে তিনি গণপ্রচারণা চালান। এসময় পথচারী ও যাত্রীদের মাঝে সচেতনতামূলক মাস্ক, সাবান এবং স্যানিটাইজারও বিতরণ করেন তিনি।

প্রচারণাকালে নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন বলেন, হঠাৎ করেই দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চাপ বেড়েছে দেশের হাসপাতালগুলোতে।

এ অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের জীবন ও জীবিকাকে সমুন্নত রেখে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।

ক্রেতা দ্রব্যমূল্যের অত্যধিক দাম আদায় করার নানান অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, রমজান আসন্ন, সেই সাথে সরকার লকডাউনও ঘোষণা করছে। আর এটাকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করছে এক শ্রেণীর অসাধু আমদানিকারক আর কতিপয় পাইকারি ব্যবসায়ী।

আমরা দেখতে পাই রোজা, পুজা কিংবা কোন বড় ধরণের উৎসব আসলে ব্যবসায়িরা সাধারণ ভোক্তাসাধারণের গলা কাটে যা কোনভাবেই একজন ব্যবসায়ির ব্যবসায়িক লক্ষ্য হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, দেশের ৬টি ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক সিন্ডিকেট রোজাদারদের সাথে ব্যাপক দুশমনি শুরু করেছে। তারা রোজার পূর্বেই প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি করে গুদামজাত করেছে অথচ বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ জনগনের পকেট কাটছে।

তিনি বাজার মনিটরিংয়ের সাথে যারা যুক্ত তাদেরকে ঐসব সিন্ডিকেটের আমদানি মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য তদারকি করার আহবান জানান এবং জনসাধারণকে ঐসব সিন্ডিকেটকে সামাজিকভাবে বয়কট করারও আহবান জানান।

সুজন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রায় প্রতিদিন দেশের গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে সরকার। এরপরও এক শ্রেণীর অবিবেচক মানুষের কারণে করোনাভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রতিদিনই আইসিইউ শয্যার জন্য ফোন আসছে। কিন্তু চট্টগ্রাম শহরের সব হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা পরিপূর্ণ। ফলে করোনা ছাড়া সাধারণ রোগীদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এ অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে অবশ্যই আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, সাবান দিয়ে বারেবারে হাত ধৌত করতে হবে আর অবশ্যই মাস্ক পরিধাণ করতে হবে যার কোন বিকল্প নেই।

তিনি নগরীর মোড়গুলোতে বিভিন্ন গণপরিবহনে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখে চালক এবং যাত্রীদেরকে সতর্ক করেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, চট্টগ্রাম জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ সুলেমান, ব্যবসায়ী সৈয়দ মোজাফফর হোসেন, মোরশেদ আলম, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, সাহেদ হোসেন খান, শিশির কান্তি বল, মো. বাবলু, সিরাজউদ্দৌল্লা নিপু, হারুনুর রশীদ, মো. জাহাঙ্গীর, মো. ওয়াসিম, মঈনুল আলম জয়, মহিউল আলম হাজী প্রমুখ।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর