chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

ডেস্ক নিউজ : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিতরাই ধর্ষণের সাথে জড়িত। ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সরকার তৎপর তবে পরিবারেরও দায়িত্ব রয়েছে। শিশুদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবার থেকেই নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। ধর্ষকেরা পরিবারের বাহিরে নয়। এরাও সমাজের অংশ। কিন্তু ধর্ষকের পরিচয় শুধুই ধর্ষক। এদের সমাজের সর্বস্তর থেকে বর্জন করেত হবে। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় প্রমাণ হয় যে আওয়ামী লীগ সরকারই পারে নারীর নিরাপত্তা দিতে।

আজ শনিবার ঢাকায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জুম প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, কোভিড- ১৯ উন্নত ও অনুন্নত সকল দেশের সব বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মানসিকভাবে শিশুরা সবচেয়ে বেশি  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে শুরু করেছে। অচিরেই এ সংকট কেটে যাবে।

আবার শিশুরা মাঠে খেলবে ও স্কুলে যাবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার সকল বিভাগীয় শহর ও ফরিদপুরে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপশি টেলিফোনে ও অনলাইনে ২৪ ঘন্টা মনোসামাজিক কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে আসছে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও আজ নানা আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়েছে।

এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য: অধিক বিনিয়োগ – অবাধ সুযোগ’ (Mental Health for All: Greater Investment-Greater Access). বাংলাদেশ সাইকোলজিক্যাল এসোশিয়েশন ও বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ওয়েবনিয়ারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জাং রানা, ঢাবির সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারপারসন মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন ও ড. আবুল হোসেন।

বিশেষ অতিথির ববক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কোভিড আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। সকলের সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানসিক স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।

অধ্যাপক মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন তার মূল প্রবন্ধ উপস্থানায় বলেন, মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের গড় আয়ু সুস্থদের তুলনায় ১৫-২০ বছর কম। কম বাজেট বরাদ্ধের কারণে কম সংখ্যক মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকে।

আজকের ওয়েবনিয়ারে করোনাকালে ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন বিষয়ে ক্লিনিক্যাল সাইক্লোজিস্টরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি চারজনে একজন ব্যক্তি তাঁদের জীবনদশায় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর দিবসটি পালন করে আসছে।

এসএএস/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর