chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সবজির দামে আগুন!

বিশেষ প্রতিবেদক : সবজির দামে যেন আগুন লেগেছে। মাসখানেক ধরেই চড়া রয়েছে শাক-সবজিনিত্যপণ্যের বাজার। বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো ধরনের সবজিই যেন মিলছেই না। তবে ক্রেতাদের জন্য এই সপ্তাহেও নেই স্বস্তির কোনো খবর। নতুন করে আবারও দাম বেড়েছে সবজির বাজারে। সবজিভেদে পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সবজির পাশাপাশি বাড়তি রয়েছে শাকের বাজারও।

চালের খুচরা বাজারেও কেজিতে প্রায় পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এছাড়া দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল, চাল, চিনি ও রসুনের। আর বাজারে খাসির মাংসের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংস, মাছ, মুরগি, ডাল ও গরম মসলার বাজার। তবে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম।

এদিকে শাক-সবজির নতুন করে দাম বাড়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতার। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির মৌসুম না হওয়ায় প্রতি বছর এ সময়ে শাক-সবজির দাম বাড়তি থাকে। এবার বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দাম আরও বেড়েছে। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে একটি জিনিসের দাম বাড়লে অপরটির দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতা। দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কাজ করছে।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার, চকবাজার কাঁচা বাজার, সাবএরিয়া বাজার ও কাজির দেউড়ী বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, সিম ১৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মানভেদে ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০টাকা, কাঁকরোল আকারভেদে ৭০থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা. লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
দাম বেড়েছে শাকের বাজারে। প্রতি আঁটিতে (মোড়া) তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে এসব বাজারে লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, মুলা, পুঁই, ডাটা শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। কলমি শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি, লাউ ও কুমড়ার শাক ৪০ টাকা।

আগের দাম রয়েছে ডাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারে। বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি ডাবলী ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, অ্যাঙ্কার ৫০ থেকে ৫২ টাকা, দেশি মসুর ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০২ টাকায় চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিদরে।
আগের চড়া দামেই বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা, পায়জাম ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৫৮ টাকা, পোলাও চাল (খোলা) ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে।
এসব বাজারে খাসির মাংসের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত (আগের দাম) রয়েছে গরুর মাংস, মাছ, মুরগির দাম। তবে ডজনে কিছুটা দাম কমেছে ডিমের। এদিকে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা।

আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস ও মুরগি। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা। বর্তমানে এসব বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজিদরে। তবে অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার।

বাজারে প্রতিকেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, কৈ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, ইলিশ (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত, শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিদরে।

এসব বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা, আদা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা।

এসএএস/

এই বিভাগের আরও খবর