সীমিত পরিসরে চালু আছে খাতুনখঞ্জ
মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিস্তার কমাতে দেশে চলছে অঘোষিত ‘লক ডাউন’। শেষ হবে আগামী ৪ এপ্রিল। এমতাবস্থায় সীমিত পরিসরে চলছে পণ্য সরবরাহ।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাংকে চেক ক্লিয়ারিংয়ের সুযোগ বন্ধ থাকায় গত খাতুনগঞ্জে লেনদেনের কমেছে উল্লেখ্যোগ্য হারে। ফলে দূরদূরান্তের ব্যবসায়ীরা পণ্য কিনতে পারছে না। তাদের পক্ষে নগদে লেনদেন করাও সম্ভব হচ্ছে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে চেক ক্লিয়ারেন্স সুবিধা উন্মুক্ত করা হলে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, পাইকারী ও খুচরা উভয় বাজার আমাদের কর্মকর্তারা মনিটরিং করছে। কেউ সংকট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে ইতোমধ্যেই পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ করেছে ব্যবসায়ীরা। সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু এক শ্রেণির ব্যবসায়ী করোনা আতঙ্ককে কেন্দ্র করে অধিক মুনাফার আশায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করছেন। বাজারে যেসব পণ্যের দাম গত দুই মাসেও বাড়েনি, সেগুলো হঠাৎ করেই বেড়ে যাচ্ছে। অথচ এসব পণ্যের সংকট কোনো সময়ই ছিল না।
গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিনদিনের ব্যবধানে মশুর ডাল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া খেসারি ডাল ৭ টাকা বেড়ে ৮৯ টাকা, মটর ডাল ২ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। এর বাইরে দাম বাড়ছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যগুলোর। ভারত ইতোমধ্যে ২১ দিনের লকডাউনে রয়েছে। এ কারণে দেশটি থেকে কোনো পণ্য আসছে না। এতে ভারতীয় হলুদের দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা।