একদিনে জেলা প্রশাসনের ১০ অভিযানে ৩৩ মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার ঘোষিত লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম নগর জুড়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নের্তৃত্বে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এসব অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে মোট ৩৩টি মামলায় ১৯ হাজার ৩০ টাকা জরিমানা আদায় করার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ হাজার ৫শটি মাস্ক বিতরণ করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।
জানা যায়, আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর পাহাড়তলী হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নের্তৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। এ অভিযানে ৩টি মামলায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
একই এলাকাগুলোতে অভিযান চালিয়ে ৩ মামলায় এক হাজার ২শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসানের নের্তৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয় নগরীর পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর থানা এলাকায়। সেখানে ৩ মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৩ হাজার ৭শ টাকা।
একই এলাকাগুলোতে পৃথকভাবে অপর আরো একটি অভিযানের নের্তৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান। দিনের সর্ব্বোচ্চ ১৩ মামলায় তিনি আদায় করেন ৫ হাজার ১শ টাকা জরিমানা।
নগরীর কোতোয়ালি, সদরঘাট ও ডবলমুরিং থানা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৫ মামলায় এক হাজার ৫শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত। একই এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান। ৩ মামলায় তিনি ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম অভিযান চালায় নগরীর বাকলিয়া এলাকায়। সেখানে ৩টি মামলায় ২ হাজার ৫শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং সচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন। তবে একই এলাকাগুলোতে পরিচালিত অপর অভিযানে কোন মামলা হয়নি। অভিযানের নের্তৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান মেহেবুব।
নগরীর খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন। এসময় অধিকাংশ সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে দেখেন এবং সচেতনতার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করেন।
একই এলাকাগুলোতে অপর আরো একটি অভিযানের নের্তৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক। তিনিও কোন মামলা করেনি। সর্বাত্মক লকডাউন মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করেন।
এছাড়াও লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে সন্ধ্যার পর থেকে আরও দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও প্লাবন কুমার বিশ্বাস মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
চখ/আর এস