chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে জেলা প্রশাসনের ১০টিম,অক্সিজেনে ১২ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের পুরো শহর জুড়ে ১০টি ভাগে ভাগ হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জেলা প্রশাসনের ১০ ম্যাজিস্ট্রেটের নের্তৃত্বাধীন পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে যে নির্দেশনা দিয়েছে তা কার্যকর করতে নগড়জুড়ে একযোগে এসব অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

লকডাউন না মেনে জনসাধারনের চলাচল, মাস্ক না পরা, মটরসাইকেলে ভাড়ায় আরোহী নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করায় অভিযানের মূল উদ্দ্যেশ্য। তবে জরিমানাও করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায়।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন, বালুছড়া এলাকায় জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযানে ১২ টি মামলার বিপরীতে ১ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা করেন এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে জেলা প্রশাসনের ১০টিম,অক্সিজেনে ১২ মামলা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে এখন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনা ।

আগামীতে জরিমানার পরিমান আরো বৃদ্ধি করাসহ আগের চাইতে আরো অধিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম নগরির গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেটেটের নেতৃত্বে ১০ টি টিম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে।

করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলার জন্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাস্তবায়নের উদ্দ্যেশে এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের আদেশে পুরো শহরজুড়ে ম্যাজিস্ট্রেটগণ পর্যবেক্ষণ করছে।

তিনি বলেন, মূলত দেখা হচ্ছে সকলে মাস্ক ব্যবহারটা নিশ্চিত করছেন কিনা, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন কিনা, যাত্রীবাহি বাসগুলো যাত্রী আনা নেওয়া করছে কিনা এবং জরুরি প্রয়োজনে খোলা রাখা দোকানগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা এবং নগরীর কোথাও জনসমাগম হচ্ছে কিনা, সে বিষয়গুলি আমরা দেখছি।

অন্যদিকে নগরীর শাহ আমানত সেতু নতুন ব্রীজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন এবং এ কে খান এলাকায় পরিচালিত অভিযানের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

যতদিন লকডাউন থাকবে এবং মহামারী করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হয় ততদিন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানায়।

কেমন ছিল করোনার দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন এ প্রথম দিনের পরিবেশ : আজ সোমবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কে দেখা যায়, অনেকটা হরতালের পরিবেশ বিরাজ করছে। সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে প্রায় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল।

তবে কিছু কিছু ব্যাক্তিগত গণপরিবহণ ও দুয়েকটি সরকারি স্টিকারযুক্ত গাড়ি এবং এ্যাম্বুলেন্স চলতে দেখা গেছে। অন্যদিকে পুরো শহর জুড়েই রিক্সার রাজত্ব বিরাজ করছে।

বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের গাড়ি টহল দিতে দেখা গেছে। মোটামুটি ফাঁকা রাস্তাঘাটে নগরীর বিভিন্ন স্থানেই শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষ চলাচল করতে গেছে।

আরপি/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর