chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

গ্রামের বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষ আস্থা হারিয়েছে : ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, গ্রামীণ সমাজের বিচার ব্যবস্থায় মানুষ সন্তুষ্ট নয়। গ্রামের বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষ আস্থা হারিয়েছেন।

তারা কোন এক পক্ষের হয়ে কাজ করেন বলে বিচার প্রার্থীরা তাদের দ্বারস্থ হন না। ফলে জেলা পর্যায়ের কোডে বিচার প্রার্থীদের ভীর বেড়ে যায়, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

তবে বাস্তব পরিস্থিতি দেখে এবং ন্যায় বিচার করলে গ্রাম আদালতে প্রান্তিক মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আইনি সহায়তা পাওয়া ও আস্থার জায়গা হচ্ছে গ্রাম আদালত।

আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) বুধবার নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায় প্রকল্প) এর সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে জানাতে হবে।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতেই হয়। সমাজের সহজ-সরল মানুষটি বিচারের জন্য এসে দীর্ঘসূত্রিতার শিকার না হয় সে বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।

চট্টগ্রাম জেলা স্থানীয় সরকার উপ পরিচালক বদিউল আলম এর সভাপতিত্বে অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক এস এম জাকারিয়া, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক সাঈদ হাসান, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোডের চট্টগ্রাম জেলার উপ পরিচালক মোরশেদ আলম, জেলা সমাজসেবা উপ পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরজাহান আক্তার সাথীর সঞ্চালনায় আয়োজিত এ সভায় জেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হায়দার হেনরি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম, স্বপ্নীল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. আলী শিকদার, বেসরকারি এনজিও ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারুসহ সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক বদিউল আলম বলেন, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত হচ্ছে সরকারের ইনোভেশন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়ন ও বিচারিক সেবা প্রাপ্তির অন্যতম মাধ্যম। আদালতের মামলার জট কমাতেও গ্রাম আদালত ভূমিকা রাখে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায় প্রকল্প) অগ্রগতি ও বাস্থবায়নের তথ্যচিত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন ডিষ্ট্রিক ফেসিলেটেটর ( জেলা সমন্বয়কারী) উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেলার ৫ টি উপজেলায় ৪৬ টি ইউনিয়নে এ প্রকল্পের আওতায় সাধারণ জনগণ সেবা পাচ্ছেন। চট্টগ্রাম জেলার সকল উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে।

সারা বাংলাদেশে ৮ বিভাগে ২৭ টি জেলায় ১২৮ উপজেলায় ১ হাজার ৮০ টি ইউনিয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাদের মামলা নিষ্পত্তির হার ৯৭ শতাংশ।

সভায় আরো জানানো হয়, স্থানীয়ভাবে সহজে কম খরচে দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভের জন্য তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
নারী সংঘঠিত বিষয় হলে গ্রাম আদালত গঠনের ক্ষেত্রে নারী সদস্য অবশ্যই রাখার বিধান রয়েছে বলে জানানো হয়।

চখ/আরএস/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর