chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অ্যালোভেরার যতগুন

ডেস্ক নিউজ:  স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা বিবেচনা করলে অ্যালোভেরাকে একটি বিস্ময়কর উদ্ভিদ বলা যেতে পারে। উদ্ভিদটির পুরু পাতায় যে জেলি (নির্যাস) রয়েছে তাতে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি প্রপার্টিজ (প্রদাহনাশক উপাদান) রয়েছে। অ্যালোভেরাতে রোগ নিরাময়, ত্বক মেরামত ও প্রশান্তিদায়ক শক্তি রয়েছে বলে শতশত বছর ধরে এটাকে হার্বাল মেডিসিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে শরীরের কিছু সমস্যায় অ্যালো ভেরার ব্যবহার উল্লেখ করা হলো।

হজম প্রক্রিয়া :

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার তুলনা হয় না। এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান পাকস্থলী ঠাণ্ডা রাখে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জল বা গুড়ের শরবতের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

ডায়াবেটিস :

যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা রস খেলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

চুলের যত্নে :

চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকে চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে চুলে লাগালে এতে চুলের উজ্জ্বলতাও বেড়ে যাবে।

ত্বকের যত্নে :

বহু বছর ধরে ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, রোদে পড়া দাগ দূর করতে অ্যালোভেরার তুলনা হয় না। যেকোনো উপটান বা প্যাক অথবা সরাসরি এই জেল লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে এবং বয়সের ছাপ মুছে যায়।

ওজন কমাতে :

ওজন কমাতে অ্যালোভেরার জুস অনেক বেশ কার্যকরী। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।

হার্ট ও দাঁতের যত্নে :

অ্যালোভেরার জুস কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে। এটি দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে দেয় এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা ও ইনফেকশন নিবারণে সহায়তা করে।

নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর