chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা লুট করার অভিযোগে ২ পুলিশ আটক

চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানায় আবু জাফর (৪৩) নামে এক ব্যবসায়ীর দায়েরকৃত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এ দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবু জাফর (৪৩) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এ মামলায় তিনি সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশের এক এসআই ও এক কনস্টেবলসহ মোট ৫ জনকে আসামী করেন।

অভিযোগে বলা হয় পরস্পরের যোগসাজশে আসামীরা তার কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়েছে। এ মামলায় আটক ২ পুলিশ সদস্য ছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, পুলিশ সোর্স মো. রিপন (৩৫), হারুন (৩৩) ও গাড়ি চালক রাজু (২৫)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর সকালে আবু জাফর একটি পিকআপ গাড়ি কিনতে সীতাকুণ্ডে আসেন। কিন্তু দরদামে না মেলায় তিনি কারটি না কিনে সন্ধ্যায় ফিরে যাবার উদ্দ্যেশে পৌরসদর বাসস্ট্যান্ডের শ্যামলী বাস কাউন্টারে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

এসময় তিনজন পুলিশ সোর্স তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের সাথে সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল আলম ও ওসির বডিগার্ড কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম যোগ দেয়।

পরে নিজেদের ডিবি বলে পরিচয় দেয় ও তার কাছে ইয়াবা আছে বলে ভয় দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে ব্যবসায়িকে গাড়িতে তুলে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে পেটে ইয়াবা আছে বলে ভয় দেখায় এবং এক্সরে করান।

এসময় ইয়াবা না পেলেও পরে আরো বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গাড়ি ক্রয়ের জন্য তার সাথে রাখা দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা লুটে নেয় ও তাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে পরে একটি গাড়িতে তুলে দেয়। সে গাড়িতে তিনি ঢাকায় চলে যান।

কিন্তু অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা এভাবে লুটে নেয়ায় আবু জাফর তা মেনে নিতে পারেননি। তিনি সুবিচারের আশায় সীতাকুণ্ড থানায় এসে ঘটনা জানান।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারও ঘটনাটি জানতে পেরে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে সীতাকুণ্ডে আসার পর আবু জাফর ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের পরিচয় জানতে পারেন।

শেষে ভুক্তভোগী আবু জাফর এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে মামলা দায়েরের পর প্রথমদিকে এসআই সাইফুল ও কনস্টেবল সাইফুল পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ সুপারের চাপে বৃহস্পতিবার তারা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে আটক করা হয়।

এ ঘটনার পর সীতাকুণ্ড থানার ওসি এবং ওসি (তদন্ত)-সহ কেউই সাংবাদিকদের ফোন ধরেননি। সীতাকুণ্ড সার্কেলের এডিশনাল এসপি আশরাফুল করিম এসআই সাইফুল ও কনস্টেবলকে গ্রেফতার এবং থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর