chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চড়-থাপ্পড়ের জেরে হালিশহরে যুবক খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলার পথে অসাবধানতাবশত ধাক্কা। ধাক্কা থেকে কথা কাটাকাটি। কথাকাটাকটি থেকে চড়-থাপ্পড়। এরই জের ধরে ছুরিকাঘাতে খুন হন হালিশহরের মিজানুর রহমান লিটন (৪০)।

মঙ্গলবার(২০ অক্টোবর) ভোরে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কিশোরকে আটকের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

আটক কিশোরের নাম- মো.ফয়সাল (১৬)। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী এলাকায়। স্থায়ী কোন পেশা না থাকলেও কিশোর ফয়সাল মাঝেমধ্যে পাইপ-ফিটারের সহকারী হিসেবে কাজ করতো।

ঘটনার বর্নণাঃ হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম চট্টলার খবরকে জানান, হত্যাকান্ড ঘটানোর পর ফয়সালের স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। সে শান্তিমত খেতে পারতো না। ঘুমাতে পারতো না। ছেলের এই পরিবর্তন দেখে মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ফয়সাল তার মায়ের কাছে হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে বর্ননা দেয়। ঘটনা শুনে তার মা প্রতিবেশীকে জানান। এভাবেই ঘটনাটি পুলিশের কানে আসে।

ফয়সালের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, ঘটনার আগে থেকে ফয়সাল তার বন্ধুক নিয়ে খুনের পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক নিউমার্কেট এলাকা থেকে একটি সুইচ গিয়ার চাকু কেনে। তার সাথে রেখে দেয়।

ঘটনার দিন ১৪ অক্টোবর রাতে ফয়সাল হালিশহরের গোডাউন বাজার এলাকায় তার মামার বাসায়। কিন্তু সেখানে মামাকে না পেয়ে রাত ১১টার দিকে ফিরে আসে। পথে কাকতালীয়ভাবে লিটনের সাথে দেখা হয়।

এসময় ফয়সাল লিটনকে সেদিনের চড়-থাপ্পড়ের ব্যাপারে ক্ষিপ্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে। একসময় পকেট থেকে চাকু বের করে লিটনকে আঘাত করার চেষ্টা করে। লিটন তাকে ধরে ফেলে পুলিশে দেয়ার ভয় দেখায়।

ফয়সাল নিজেকে নিভৃত করে লিটনকে উর্পযপুরি ছুরিকাঘাত করে। পরেরদিন সকালে মহেশখালের পাড় থেকে লিটনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফয়সাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর লিটনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার শরীরের ছুরিকাঘাতের ৫টি চিহ্ন পাওয়া যায়। লিটন হালিশহরের রহমানবাগ আবাসিক এলাকার এমএ লতিফের ছেলে।

এমএইচকে/এএমএস 

এই বিভাগের আরও খবর