chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দখল দূষণে বিবর্ণ কর্ণফুলী বন্দরের অব্যবস্থাপনার ফসল

নগর আ.লীগ আয়োজিত সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তাদের অভিমত

চট্টগ্রাম ডেস্ক : বন্দর মোহনা থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত ষোল কিলোমিটার কর্ণফুলী রক্ষার দায়িত্ব চট্টগ্রাম বন্দরের। বন্দর কতৃপক্ষ নিজেদের খেয়ালখুশি মতো নদীর তীর ও নদী লিজ দিয়েছে। তবে কর্ণফুলী ড্রেজিং ও দখলমুক্ত করেনি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তারা এভাবেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

কর্ণফুলী ও দেশের নদনদী দখল দূষণমুক্ত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত সাম্পান শোভাযাত্রায় বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন নদী ও নৌকাকে ভাল বেসেছেন। তার জন্মশতবার্ষিকীর এই শোভাযাত্রায় একটাই দাবী আর তা হলো দখল দূষণমুক্ত হোক কর্ণফুলীসহ দেশের সকল নদ-নদী।

আজ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় নগরীর অভয়মিত্রঘাট থেকে সাম্পান শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি সব সময় নিজেকে মাঝি কূলি মজুরের সহযোদ্ধা ভাবতেন। এই মহানের জন্মশতবার্ষিকীতে সাম্পান মাঝিদের দাবী তাদের ঘাট ফিরিয়ে দেয়া হোক। সেই সাথে চট্টগ্রাম বন্দরকে অবশ্যই কর্ণফুলী রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধানবক্তা ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, নদী খেকোদের দখল, কলকারখানার শিল্প বর্জ্যের দূষণের কবলে পড়ে কর্ণফুলী, বুড়িগঙ্গাসহ দেশের অসংখ্য নদীর বিপন্ন অবস্থা।

অস্তিত্ব হারাতে বসেছে কর্ণফুলীসহ দেশের অসংখ্য নদ-নদী। এমন অবস্থায় সাম্পান শোভাযাত্রার মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকেই নদী বাঁচানোর ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

আ জ ম নাছির বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্ণফুলীতে। দখল দূষণে কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্দর বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি সঞ্চালনের মতো দেশে অন্য বিকল্প বন্দর নাই। তাই কর্ণফুলী রক্ষার সকল আয়োজন চট্টগ্রাম বন্দরকেই করতে হবে।

তিনি বলেন, জনসাধারণের অসচেতন ও বেপরোয়া ব্যবহারে দিন দিন নদীগুলো অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। দখল ও ভরাটের করাল গ্রাসে অনেক নদী মরে গেছে।

নদী বাঁচলে জীবন বাঁচবে। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই নদীকে বাঁচাতে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান, কর্ণফুলী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী।

মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান, ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো: আবু তাহের, সদস্য সাইফুদ্দিন বেলাল, হাজী মোহাম্মদ বেলাল, সাবেক কাউন্সিল হাসান মুরাদ বিপ্লব, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি জাফর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ইছানগর বাংলাবাজার সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্নদ লোকমান দয়াল, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, অর্থ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, আবুল হোসেন আবু ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক ফরিদ হোসেন প্রমুখ।

জানা যায়, কর্ণফুলীসহ সকল নদনদীর দখল,দূষণ প্রতিরোধে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুই দিন ব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।

কর্মসূচির প্রথম পর্ব অভয়মিত্র ঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত সাম্পান শোভাযাত্রা আজ শুক্রবার ১৬ অক্টোবর সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নগরীর অভয়মিত্র ঘাট থেকে শুরু হয়ে সাম্পান শোভাযাত্রা কর্ণফুলী ব্রিজ হয়ে পুনরায় অভয়মিত্র ঘাটে সমাপ্ত হয়। শোভাযাত্রায় দুই শতাধিক সাম্পান অংশগ্রহন করে। এই শোভাযাত্রায় নগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন অংশগ্রহণ করে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর