chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাঙ্গুনিয়ায় বনভূমি দখল ভিন্ন খাতে নিতে অপপ্রচার চালাচ্ছে বৌদ্ধ ভিক্ষু: অভিযোগ বন বিভাগের

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের খুরুশিয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনে ৫০ একর জায়গা দখল করার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণংকর থের ও তার অনুসারীরা দেশ-বিদেশে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের প্রশাসনিক অধিক্ষেত্রাধীন খুরুশিয়া রেঞ্জের খুরুশিয়া বিট এবং সুখবিলাস বিটের ফলাহারিয়া মৌজায় ১৯৩১ সনে ঘোষিত সংরক্ষিত বনভূমি যার আর, এস দাগ নং-৬৫৮,৬৫৯,৬০৭ এবং বি,এস দাগ নং-৬০৫,৬৪৬,৬৪৭। সেই সংরক্ষিত বনভূমিতে হাটহাজারী উপজেলার দিলীপ বড়ুয়ার ছেলে শরণংকর থের নামে এক বৌদ্ধ ভিক্ষু ধর্মীয় ধ্যানের নামে সরকারি আনুমানিক ৫০ একর বনভূমি জবরদখল করেন। সংরক্ষিত বনভূমি দখলে নিয়ে সেখানে ছোট-বড় মূর্তি, তোরণ, পুকুর, টিনের ঘরসহ বিবিধ স্থাপনা আইন বর্হিভূত ভাবে নির্মাণ করেছেন। এই ভিক্ষু বর্তমানে ‘জ্ঞানশরণ মহাঅরণ্য বৌদ্ধ বিহার’-এর নামে আরো ৫০ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখলের চেষ্টা করছেন।

‘উক্ত জবরদখলকৃত সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখলমুক্ত করার জন্যে শরণংকর থেরো’কে নোটিশ প্রদানসহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ রোপণকৃত ৩ হাজার বিবিধ প্রজাতির চারা কর্তন, প্রস্তাবিত বাগানের ৩টি সাইনবোর্ড ধ্বংস, ২০১৯-২০ আর্থিক সনে বাগান সৃজনের নিমিত্তে উত্তোলিত ৭৬ হাজার ৬ শ’টি বিবিধ প্রজাতির চারা কর্তন ও ২০ হাজার খুঁটি পুড়িয়ে ফেলেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এতে সরকারের ১১ লাখ ৩ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অভিযোগ, বারংবার নিষেধ সত্ত্বেও শরণংকর থেরো বনভূমি দখল অব্যাহত রাখে। এমনকি বনভূমি দখলের কৌশল হিসেবে নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণ করেই যাচ্ছেন। বন বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে বনভূমি দখলে বাঁধা প্রদান করতে গেলে তখন ওই ভিক্ষু ও তাঁর অনুসারিগণ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। এমনকি এক ফেসবুক লাইভে গিয়ে তিনি উল্টো নানা আপত্তিকর ও উষ্কানিমূলক বিবৃতি দেন। পরবর্তীতে দেশ-বিদেশে নানা ধরণের উস্কানিমূলক অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছেন।

মূলত ভদন্ত শরণংকর থের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এই অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ হতে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” বিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হয়।
আগে বন বিভাগ অনেকবার সাইনবোর্ড লাগালেও শরণংকরের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা এসব সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে দিত বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি শরণংকর থের কর্তৃক দখলকৃত বন বিভাগের সরকারি জায়গায় আবার সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।

এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর