চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে অবস্থান করছি। এর আগের তিনটি শিল্প বিপ্লবের আমরা কোনো সুযোগ নিতে পারিনি। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাই।
বুধবার (১৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে দেশ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে পরিবর্তিত শ্রমবাজারে চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করছেন, চাকরির বাজারে সে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে কি-না তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। যারা বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করছেন তাদের অনেকেই চাহিদা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না এবং কোনো রকমের টেকনিক্যাল শিক্ষা না থাকায় তারা বেকার থেকে যাচ্ছেন। সরকার আর এই রকমের শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানবসম্পদের চেয়ে কোনো সম্পদই বড় নয়। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে যুব সমাজকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ শিল্পের সাথে সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, দেশ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে শ্রমবাজারের পূর্বাভাস দেয়া, কারিকুলাম যুগোপযোগীকরণ, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান মানোন্নয়ন, ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল গঠনসহ ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ শতাংশ হয়েছে, ২০০৯ সালে যা ছিল মাত্র ১ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনলাইন আলোচনা সভায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘দক্ষতাই যুবকের উদ্দীপনা’। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিবুল আলম।
এমআই/