chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

প্রযুক্তিখাতে যত অর্জন পুরোটাই করেছে আওয়ামী লীগ: শিক্ষামন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তিখাতে যত অর্জন, যতটুকু আমরা এগিয়ে এসেছি পুরোটাই করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

সোমবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় এই অনলাইন সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। পর্বটি সরাসরি প্রচারিত হয় আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও এই রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিলো না, সবাইকে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হচ্ছে। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে আমাদের অনলাইন এডুকেশন সিস্টেমে যেতেই হতো, সেখানে আমরা অনেক আগেই এই সংকটকালীন সময়েই অনলাইন এডুকেশন চালু করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, গত ১৭ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের ক্লাশ চালু করেছি। এছাড়াও অনলাইনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো তাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নিচ্ছেন। আমরা দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরিপ করে দেখেছি ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছাতে পারছি। বাকি শিক্ষাথীদের জন্য যাদের কাছে অনলাইনে পৌছাতে পারছি না তদের কাছে পৌছাতে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষকদের অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়ার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের যাতে শিক্ষা জীবনে ব্যহত না হয়, তারা যেনো ঝরে না পড়ে সেক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপার সঞ্চালনায় আলোচনায় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ-এর মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বাংলা একাডেমি’র সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ শাহিনুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক সাংবাদিক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল খালেক।

মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ে অনলাইন ক্লাশ নেয়া হচ্ছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবাই অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করে ক্লাশ নিচ্ছে।

মোস্তফা জব্বার বলেন, আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতেছি তার ভিত্তি কিন্তু আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থাপন করেছেন। এটিও মনে রাখা উচিত আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছেন। তার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি। আমাদের এখন প্রায় সাড়ে দশ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। আমাদের ৩৮০০ ইউনিয়নে এখন ইন্টারনেট কানেক্ট সংযোগ আছে। যার সুফলতা আমরা পাচ্ছি।

আমরা শিক্ষা ব্যবস্থা কিংবা ক্লাস রুমকে যদি ডিজিটাল না করতে পারি তাহলে কিছুটা পিছিয়ে যাবো। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নেট রেইট ২৫% কম নিয়ে থাকি। আমরা ৬০০ এর মত ক্যম্পাসে ফ্রি কানেক্টিভিটি দিয়েছি। আমি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এবং শিক্ষকদের জন্য বিনামূল্যে ব্যন্ডউইথ এর ব্যবস্থা করবো। আমরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়েও ইন্টারনেট এর ব্যবস্থা করবো।

অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, করোনা সংকটের এই মুহুর্তে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনলাইনে নিয়ে আসতে হবে, একেবারে কেজি থেকে শুরু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। আমাদের সামনে যেই চ্যালেঞ্জ তা মোকাবিলা করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের আহ্বান জানাই।

‘আমরা মাননীয় ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগের কাছে অনুরোধ জানাবো শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে কিংবা সহজলাভ্য ইন্টারনেট এর ব্যবস্থা করতে। এতে করে এই সংকট মুহূর্তে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে সহজলভ্য ইন্টারেন্ট এর বিকল্প নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর