chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনায় ঝরলো ৩৩ প্রাণ, চট্টগ্রামের ৭ জন

ডেস্ক নিউজ: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৭জনসহ দেশে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৭ জনে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৫৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জনে।

বুধবার (১৫ জুলাই) মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৭৯৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ২৩ জন।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৩০৮টি। ৭৯ টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ২টি। মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪০২টি নমুনা।

তিনি জানান, নিহত ৩৩ জনের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এরমধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, সাতজন চট্টগ্রামের, খুলনায় পাঁচজন, রংপুরে তিন জন এবং রাজশাহীতে দুইজন রয়েছে।

বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা যান ২৭ জন এবং বাসায় ৬ জন।

বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে করোনা গত ছয় মাসে বিশ্বের ২১৩ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে । চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর