chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভুয়া রশিদে ফল বিক্রি ফলমন্ডির ব্যবসায়ীদের

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তারের মধ্যে নতুন কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন নগরীর ফলমন্ডির ব্যবসায়ীরা। ভূয়া রশিদ দিয়ে এবং আড়ত থেকে মাল্টা সরিয়ে কোল্ড স্টোরেজ থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামভিত্তিক ফল আমদানিকারকরা আমদানি মূল্য সংক্রান্ত এবং আড়তদারকে সরবরাহ মূল্য সংক্রান্ত কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মাল্টা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফলমন্ডিতে।

পাইকারি বাজার ফলমন্ডিতে কমিশন এজেন্ট, আড়তদার, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাতের যোগসাজশে মাল্টা মূল্য কয়েকগুণ বেশি মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।

জানা গেছে, মাল্টার গড় আমদানি খরচ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। সে হিসেবে পাইকারিতে দাম হওয়ার কথা কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা বিক্রির কথা। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরের দিকে নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন সংলগ্ন ফলমন্ডিতে (ফলের পাইকারি বাজার) সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ফল ব্যবসায়ীদের এসব অভিনব কৌশলের বিষয়গুলো জানতে পারেন। এসময় আড়তদার থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাট্টলী সার্কেল) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন নতুন কৌশলে মাল্টার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভূয়া রশিদ তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে মাল্টা। আবার আড়তের মাল্টা সরিয়ে কোল্ড স্টোরেজ থেকে বিক্রি করছে তারা।

গতকাল অভিযানের খবর পেয়ে বেশ কিছু আড়তদার পালিয়ে যায়। এসময় আল-আমিন ট্রেডার্সের মালিক মো.আলী হোসেন মার্কেট থেকে পালিয়ে যান। পরে আড়তের ম্যানেজারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট।

এই বিভাগের আরও খবর