যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এ প্রশংসা করা হয়। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের আট নারীর অবদান বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।
নিবন্ধটি লিখেছেন কানাডিয়ান লেখক আভিভা উইটেনবার্গ-কক্স। নিবন্ধে তিনি নারী নেতৃত্বাধীন আটটি দেশের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেছেন। এর আগে তিনি এক নিবন্ধে জার্মানি, নিউজিল্যান্ডসহ নারী নেতৃত্বাধীন সাতটি দেশের এই সংকট উত্তরণে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে লেখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এবার নিবন্ধে বলা হয়, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সমস্যা-সংকটের সঙ্গে অপরিচিত নয়। শেখ হাসিনা করোনা সংকট মোকাবিলায় দ্রুত সাড়া দিয়েছেন, যেই পদক্ষেপকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রশংসনীয় বলেছে।
বাংলাদেশের সরকার প্রধান ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে চীনে আটকেপড়া দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। মার্চের শুরুর দিকে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দেন এবং খুব কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা-বাণিজ্য অনলাইনে পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে স্ট্ক্রিনিং ডিভাইস বসান। প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষের স্ট্ক্রিনিং হয়, যাদের ৩৭ হাজার ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এই পদক্ষেপগুলোই এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেনি যুক্তরাজ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও নিবন্ধে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব, হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সাহলে-ওর্ক জাদে, জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জারাবিশিলি, বলিভিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট জেনিনে আনিজ এবং নামিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী সারা কুগোনগেলা-মাদিলার প্রশংসা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপের জন্য এই নেতাদেরও প্রশংসা করা হয়। নিবন্ধে বলা হয়, নারীরা এখন বিশ্বজুড়ে ১৮ দেশের সাড়ে ৫৪ কোটি মানুষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন; যা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৭ শতাংশ।