chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে: এলজিআরডি মন্ত্রী

ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি করা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় অনিয়ম এখন নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনার দুর্যোগের মধ্যেও অনেক জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। এবং চেয়ারম্যান সমিতিও প্রশংসা করেছে এজন্য। এখানে সীমিত সংখ্যক লোক জড়িত হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব ছিল গুরুত্ব দেওয়া, আমি এবং আমার মন্ত্রণালয় থেকে এটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় আমি মনে করি বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অপরাধ সারা পৃথিবীতে আছে। অপরাধের শাস্তি যখন হয় তখন সে অপরাধ কমে যায়। সারা পৃথিবীতে এ প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করা হয়।

চাল চুরির সংবাদ করতে যাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান দ্বারা সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিক হোক, সরকারি কর্মকর্তা হোক বা সাধারণ কৃষক হোক কারো দ্বারা যদি কেউ অন্যায়ভাবে অপদস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বটা একটু বেশি। তারা যখন করবে এটাকে কিন্তু আরো বেশি গুরুত্ব দেবো, কারণ তাকে তো মানুষকে রক্ষা করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আমাকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে মানুষের জন্য কাজ করার জন্য। আমার দায়িত্বটা আমি স্পষ্ট এবং বেশি সেনসিটিভ। তেমনি মেম্বার-চেয়ারম্যানদের দায়িত্বও গুরুত্বপূর্ণ। কন্টেস্ট অব দ্যা লোকাল সিচ্যুয়েশন। আমরা যেমন ভালো কাজের জন্য তাদের প্রটেকশন দেবো, তেমনি খারাপ কাজের জন্যও শাস্তি দেবো।

ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়েছে, এ বিষয়ে কতটুকু সতর্কতা রয়েছে জানতে চাইল তিনি বলেন, এখন যেহেতু আমরা বেশিরভাগ করোনার কারণে বাসায় থাকি তাই আমরা যদি বাগান, ফ্রিজ, এসিসহ জমে থাকা পানি পরিষ্কার করে ফেলি, তাহলে আমরা এডিস মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। এডিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন যেখানে এটির জন্ম হয়, সুতরাং আমার বসার এডিস মশা আমিই নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। এ বিষয়ে আমরা সবাই সতর্ক হলেই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। আর আমরা কীটনাশকের ব্যবস্থা নিয়েছি। আর যেসব খাল ও ড্রেনে বজ্য জমে আছে সেগুলো তাদের পরিষ্কার করা হয় সেজন্য সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, রাজউককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর