chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৭ বছর

দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সাত বছর অতিক্রম করলো আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারের রানা প্লাজা নামে ৯ তলা ভবন ধসে ১ হাজার ১৩৬ শ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরো প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক।

জানা যায়, রানা প্লাজা ধসের সাত বছরে একজনেরও সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি। সাক্ষ্যের জন্য তারিখ নির্ধারণ হলেও বারবার তা পেছানো হয়। যাতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম স্থগিত রয়ে যায়। বর্তমানে আলোচিত এ মামলাটির কার্যক্রম নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল চলাকালীন রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে রানা প্লাজার। যে ঘটনায় প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৪ জন পোশাক শ্রমিক। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। জীবিত উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৮ জনকে। ওই ভবনের মালিক ছিলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল রানা।

এ ঘটনায় ভবন নির্মাণে ‘অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা’ মামলা দায়ের করেন তৎকালীন সাভার থানার উপ-পরিদর্শক ( এসআই) ওয়ালী আশরাফ। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে।

কিন্তু, কয়েকজন আসামির করা অবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিলে বন্ধ হয়ে যায় মামলাটির কার্যক্রম। এতে করে রাষ্ট্রপক্ষও সাক্ষ্য নিতে পারছে না। পাশাপাশি রিভিউশনে ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় ফ্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আর এতে করেই এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি মামলাটি।

হত্যা মামলার বিষয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খোন্দকার আব্দুল মান্নান গণামধ্যমকে বলেন, ‘অভিযোগ গঠনের পর কয়েকজন আসামি উচ্চ আদালতে গিয়ে মামলাটি স্থগিত করেন। তাদের মধ্যে এখনও সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রেফাত উল্লাহ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলীর পক্ষে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। ফলে বিচার প্রক্রিয়ার কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।’

এই বিভাগের আরও খবর