কুকুরের মুখে রান্না করা খাবার তুলে দিলেন মেয়র নাছির
অভুক্ত কুকুরের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। নগরের বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে রান্না করা এসব খাবার কুকুরকে খেতে দেন তিনি।
সোমবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে কুকুরকে খাওয়ানোর সময় গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজসেবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রাণী জগতে কুকুর প্রভুভক্ত ও মানুষের উপকারী জীব। এদের একটি অংশ গৃহপালিত। তাদের অনুসন্ধিৎসু ঘ্রাণশক্তি প্রখর ও সুতীব্র। তাই পুলিশ, সেনাবাহিনী ও রহস্য অনুসন্ধানী গোয়েন্দা সংস্থার প্রশিক্ষিত কুকুর স্কোয়াড রয়েছে।
গল্প, উপন্যাস ও ধর্মীয় আখ্যানে কুকুর নিয়ে প্রভুভক্তি ও মনুষ্য প্রীতির অনেক কীর্তিগাথা আছে। তবে তাদের একটি বড় অংশ বাউণ্ডুলে ও ভবঘুরে। তাদের উদর পূর্তির জায়গা ডাস্টবিন ও নালা-নর্দমায় ফেলে দেওয়া গৃহস্থালি ও হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ।
তবে করোনাভাইরাস কবলিত নগরে লকডাউন চলাকালে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এবং গৃহবন্দি মানুষের জীবনযাপনে সীমিত রান্নাবান্নার কারণে ডাস্টবিন ও নালা-নর্দমায় খাবারের উচ্ছিষ্ট নেই বললেই চলে। তাই পথের ভবঘুরে কুকুরগুলো অভুক্ত। মধ্যরাতে ক্ষুধা কাতর কুকুরের আকুল বিলাপে আমার মন কাঁদে এবং অনেকেরই। এই পৃথিবী শুধু মানুষের নয়, খোদাসৃষ্ট সব প্রাণীর। মানুষের একতরফা কর্তৃত্বে মানুষই শ্রেষ্ঠ! তাই অন্যপ্রাণীকুল আজ বিপন্ন, নিপীড়িত এমনকি বিলুপ্তপ্রায়।
অথচ প্রাণীর সম্মিলিত সহযোগে প্রকৃতির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত। তাই শুধু মানুষই নয়, সব প্রাণীও প্রকৃতির সঙ্গী। এ শিক্ষা করোনা দুর্যোগকালীন দুঃসময়ে গ্রহণ করা আমাদের উচিত। তাই অভুক্ত প্রাণীকুল কুকুরের প্রতি গভীর মমতায় একটু খাবার তুলে দিয়ে মানবজীবনকে সার্থক করে তুলুন। এটাই নগরবাসীর প্রতি আকুল আবেদন।