chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ব্যাংক লেনদেনের সময় আবারো বাড়ছে

লকডাউনের মধ্যেই আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যাংকগুলোতে লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা বাড়ছে।

সীমিত আকারের ব্যাংকিং সেবার আওতায় যেসব ব্যাংক শাখা খোলা রয়েছে, সেগুলোতে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। তবে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক বেলা ২টা পর্যন্তই খোলা থাকবে।

বৃহস্পতিবার এক সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংক লেনদেনের নতুন এই সময়সূচি ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকসমূহের গ্রাহকদের লেনদেনের সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য শাখাসূহের ভেতরে দূরত্ব বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখবে। অনলাইন সুবিধা নেই এমন সব শাখা খোলা রাখতে হবে। সব জেলা সদরে-জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত ব্যাংকের শাখা সমূহের অন্তত একটি প্রতি কার্যদিবসে খোলা রাখতে হবে।

মহানগর-বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা এবং শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সম্পাদনের জন্য দেশের অন্য স্থানে ব্যাংকের স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচিত এডি শাখা-শাখাসমূহ খোলা রাখতে হবে।

শ্রমঘন এলাকায় ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে হবে। সমুদ্র-স্থল-বিমান বন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস্ এলাকায়) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা-বুথ খোলা রাখার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর-কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। মহানগর, জেলা, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক লকডাউন ঘোষিত এলাকায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে জরুরি বিবেচনায় কমপক্ষে একটি শাখা প্রতি কার্যদিবসে খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। খোলা রাখা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখার বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

গ্রাহকের প্রয়োজনে নগদ-জেকের মাধ্যমে অর্থ জমা এবং উত্তোলন, ডিডি-পে অর্ডার ইস্যু, শ্রমঘন শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যাবতীয় ঋণ নিয়মাচার পরিপালনপূর্বক ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, বিভিন্ন প্রকার জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেট মেয়াদ পূর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের-ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্য লেনদেনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

খোলা রাখার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর