chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পালিত হলো ডিজিটাল বর্ষবরণ

রক্তিম আভা ছড়িয়ে বছরের প্রথম সূর্য উঠল সুরের মূর্চ্ছনা ছাড়াই। ভৈরবী রাগে দুলে উঠলো না নবপত্রপল্লব। বাঙালির উৎসবে পড়েছে বিষন্নতার কালো ছায়া। নববর্ষে তবুও মানুষ গাইছে ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’

প্রতিবছরের মত রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান হয়নি ঠিক। তবে, বিগত কয়েক বছরের অনুষ্ঠানের সংকলন নিয়ে ডিজিটালি হয়েছে সুন্দর ও শুভের আবাহন।

উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের – এই স্লোগানে বঙ্গাব্দ ১৪২৭ কে ডিজিটালি আবাহন করলো ছায়ানট। রমনার বটমূলে বিগত কয়েক বছরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সংকলিত অংশ সম্প্রচার করা হয়।

নিয়ম মেনে ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন সমাপনী বক্তব্যে বললেন, এখন উৎসব নয়, বিপন্ন মানুষকে রক্ষা করার দিন। মহাসংকট বয়ে আনবে মহাপরিবর্তন। জয় হবে মানুষেরই। কামনা করি, বিচ্ছিন্নতা ও বন্দিত্ব পেরিয়ে নতুন উপলব্ধিতে নতুন বিশ্ব গড়বার প্রেরণা সঞ্চারিত হবে সবার মধ্যে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে নববর্ষের ডিজিটাল অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় সব টিভি চ্যানেলে।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ঘরে থেকে নববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানান।
‘মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।’ প্রতিকূলতা দমাতে পারেনি বাঙালিকে। কেটে যাবে এই দুর্যোগও। এমন প্রত্যাশা সবার।