chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নয়াদিল্লীতে বৈঠকে যোগ দিতে নৌসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের ঢাকা ত্যাগ

চট্টলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌসচিব পর্যায়ের ২১তম স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক এবং দ্বিতীয় ইন্টার গভার্নমেন্টাল কমিটির বৈঠক আগামীকাল (বুধবার) নয়াদিল্লীতে শুরু হয়ে চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।

বৈঠকে অংশ নিতে ২১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লীর উদ্দ্যেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে। নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি সচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং ইন্টার গভার্নমেন্টাল কমিটির বৈঠকে নেতৃত্ব দিবেন। প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এর আওতাধীন ২১তম স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে নেতৃত্ব দিবেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা-১) এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী।

বাংলাদেশ দলের অন্য সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা-১) এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ টি এম মোনেমুল হক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবদুস সামাদ আল আজাদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এ টি এম রকিবুল হক, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এম মোস্তফা কামাল, উপসচিব মো. আমিনুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জাজরিন নাহার, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মো. মঞ্জুরুল কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব আকতার হোসেন, বাংলাদেশ কনটেইনার শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাসির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কার্গো ভেহিক্যাল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক এবং কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শেখ মাহফুজ হামিদ।

দুদেশের নৌসচিব পর্যায়ের শেষ বৈঠক ২০১৯ সালের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১১টি করে মোট ২২টি ‘পোর্ট অব কল’ রয়েছে। সেগুলো হলো- বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, মোংলা, সিরাজগঞ্জ, আশুগঞ্জ, পানগাঁও, রাজশাহী, সুলতানগঞ্জ, চিলমারী, দাউদকান্দি ও বাহাদুরাবাদ এবং ভারতের কলকাতা, হলদিয়া, করিমগঞ্জ, পান্ডু, শিলঘাট, ধুবরী, ধুলিয়ান, মায়া, কোলাঘাট, সোনামুড়া ও যোগীগোপা।

দু’দেশের মধ্যে আটটি করে মোট ১৬টি বাংকারিং পয়েন্ট (জাহাজে জ্বালানি নেয়ার স্থান) রয়েছে। সেগুলো হলো- বাংলাদেশের শেখবাড়িয়া, মোংলা, খুলনা, বরিশাল, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও চিলমারী এবং ভারতের কলকাতা, বজবজ, হলদিয়া, নামখানা, করিমগঞ্জ, ধুবরী, যোগীগোপা ও পান্ডু।

বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তির অনুসরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) ১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান পিআইডব্লিউটিটি ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরের পর থেকে নবায়নের ভিত্তিতে অব্যাহত আছে।

এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর