chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের মোড়কে স্বৈরশাসন কায়েম করছে-মির্জা ফখরুল

ডেস্ক নিউজ: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে ড্রাইভার্ড করার জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর-নোয়াখালী-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের এজেন্সির মাধ্যমে।

আবার এসব ঘটনায় নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা গ্রেফতার করে হয়রানী করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সামনে অনেক বিপদ। মানুষ এখন সময় অতিবাহিত করছে।

তিনি বলেন, এ সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু গণতন্ত্র তারা বিশ্বাস করে না, তারা সুপরিকল্পিত ভাবে মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের মোড়ক দিয়ে স্বৈরশাসন কায়েম করেছে।

শনিবার বিকালে কাজীর দেউরীস্থ এপোলো শপিং সেন্টারের টাইম স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আর আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনের ফাঁদে পা দিচ্ছি না। এদেশের মানুষ ভালো করেই জানে যে আওয়ামী লীগের অধিনে যদি কোন নির্বাচন হয় তাহলে সে নির্বাচন কোন দিনই সুষ্ঠু আবাধ গ্রহণযোগ্য হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, চট্টগ্রামে এসে দেখলাম এখানে অনেক ফ্লাইওভার করেছে। পাকা ড্রেন করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য কি করেছে? সাধারণ মানুষের জন্য তারা কিছু দেখে না। দেড় বছরে লকডাউন লকডাউন খেলা করে সরকার মানুষের জীবিকা অর্জনের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।

যারা হকারি করতেন, স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতেন, তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। গরীব মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, সেই টাকা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতারা লুট করে খেয়ে ফেলেছে।

আমার কথা নয়, পত্রপত্রিকা খুললে দেখবেন আওয়ামী লীগ কিভাবে সারাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ড্রাইভার, তার একাউন্টে ৪০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। দেশটাকে কোথায় নিয়ে গেছে তারা? আজ গরীব শুধু গরীব হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মোটা থেকে আরও মোটা, তাজা থেকে আরও তাজা আর বড়লোক থেকে আরও বড়লোক হচ্ছে।

তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণআন্দোলন যারা করতে চান, অভ্যুত্থান যারা করতে চান সংগ্রাম করে, বিপ্লব করে যারা বাংলাদেশকে মুক্ত করতে চান তাদেরকে অবশ্যই সতিকার অর্থে সাচ্চা সৈনিক তৈরি হবে। তাদের মধ্যে আর্দশ্য থাকতে হবে। তাদের মধ্যে সংগঠনের প্রতি ভালোবাসা এবং সেনা প্রতি নিদেশ মানার বোধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু স্লোগান দিয়ে আন্দোলন হবে না। মাথা ঠাণ্ডা করে বুদ্ধিমত্তার সাথে কৌশলে নিজেকে দৃঢ় করে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের যৌবনে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। এখন আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদি সরকার থেকে দেশকে মুক্ত করা। নেতারা যখন ডাক দেবেন, ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হােসেনের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির এই কেন্দ্রিয় নেতা বলেন, এই স্বৈরাচারী বিএনপি’র শুধু ওয়ার্ড কমিটির সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে নয়, ইউনিয়নের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, ৩৫ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় এক লক্ষ মামলা।

ইলিয়াস আলী, নুরুল আলম ৫শ’র অধিক মানুষ গুম হয়ে গেছেt এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আজকে আমার দুর্ভাগ্য আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা এখনো পর্যন্ত স্বৈরাচারকে হারাতে পারেনি। সে জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমাদের সকল নেতারা অতি দ্রুত সংগঠনকে সংগঠিত করছেন।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সচিব সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এড. মুফিজুল হক ভূইয়া, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, মন্জুর আলম মন্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর