মিরসরাইয়ে সড়কে প্রাণ গেল ছাত্রলীগ নেতার
নিজস্ব প্রতিবেদক: মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম একরামুল হক সেলিম (৫২)। তিনি স্থানীয় দূর্গাপুর ইউনিয়ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয়রা হাইচ গাড়িটি ধাওয়া করে গাড়ি ও গাড়ির চালককে আটক করে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানার ঠাকুরদিঘী বাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত একরামুল হক সেলিম দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকার মৃত মুজিবুল হকের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, একরামুল হক তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে পার হচ্ছিলেন। এসময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী দ্রুত গতির হাইস গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-চ ১৯১০৭২) প্রথমে ধাক্কা দেয়।
এতে তিনি হাইচের সামনের বাম্পারের সাথে আটকা পড়েন। গাড়ি একটু থামলেও চালক পুনরায় গাড়ি চালাতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন হাইচটিকে ধাওয়া করে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে মিঠাছড়া এলাকায় আটক করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ততক্ষণে একরাম মৃত্যুবরণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রথম ধাক্কার পর গাড়িটি যখন দাঁড়িয়ে যায় তখন একরাম তেমন আঘাত প্রাপ্ত হননি, এসময় তাকে উদ্ধার করতে পারলে বাঁচানো সম্ভব হতো। কিন্তু চালক তাকে উদ্ধার না করে ইচ্ছাকৃতভাবে বাম্পারে আটকে থাকা অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
একরামের খালাত ভাই রফিক উন নবি জানান, এটা ইচ্ছাকৃত হত্যা। চালক যদি গাড়ি থামিয়ে তাকে উদ্ধার করত তাহলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু ছেচিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরফুদ্দীন জানান, এটি একটি ইচ্ছাকৃত হত্যা। পরিবারকে অনুরোধ করেছি মামলা করার জন্য। কিন্তু তারা মামলা করতে অনিচ্ছুক। লাশ পোষ্টমর্টেম করা ছাড়াই নিয়ে গেছেন তারা।
তবে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। স্থানীয়রা চালককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হাইচ গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
আরএস/এমআই