chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দুর্গাপূজায় কদর বেড়েছে নারিকেলের

নিজস্ব প্রতিবেদক : রীতি অনুসারে দুর্গাপূজার সময় নারিকেলের নাড়ু বানানো হয়। গ্রামে বা শহরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব পরিবারে বানানো হয় নানা স্বাদের নারিকেলের নাস্তা। এছাড়া পূজোতে বেড়াতে আসা অতিথিদের মুড়ি, বিভিন্ন ধরনের ফল, লুচি ও মিষ্টির সঙ্গে নাড়ু দিয়ে আপ্যায়ন করা হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরানো রেওয়াজ।

এই নাড়ু তৈরিতে প্রয়োজন হয় নারিকেলের। তাই দুর্গাপূজার সময় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো চট্টগ্রামেও নারিকেলের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

গত সোমবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ বুধবার অষ্টমী। এই পূজাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার ১৫ টি উপজেলায় বেড়েছে নারিকেলের চাহিদা। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে মানভেদে একেকটি নারিকেল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। যা আগে বিক্রি হতো ৪০ থেকে ৭০ টাকায়।

নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার, স্টেশন রোড ও পাহাড়তলী এলাকায় পাইকারী আড়তে পাইকারী বিক্রেতারা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশী নারিকেল কিনতে দেখা গেছে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে সাধার ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।

নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারের নারিকেল বিক্রেতা মো. হাবিব বলেন, প্রতিবছর পূজায় বেশি নারিকেল বিক্রি হয়ে থাকে। চাহিদা থাকায় পূজার সময় নারিকেলের দাম পাইকারীতে বেড়ে যায়। আমাদেরও খুচরায় বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

নগরীর জামালখান এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ শীল বলেন, শহরে থাকি বাসায় তো আর নারিকেলের গাছ নেই, পূজার সময় বাসায় নাড়ু না হলে কেমন একটা খাপছাড়া দেখায়। নাড়ু ছাড়া পূজার খাবার যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়স্বজনদের নাড়ু দিয়েই তো আপ্যায়ন করতে হবে। এ জন্য এবার এক ডজন মাঝারি আকারের নারিকেল কিনেছি।

হাজারী লেইনের বৈশাখী দাশ নামে এক গৃহীনী বলেন, ছেলে-মেয়ে আছে। তাদের জন্য নারিকেল দিয়ে নাড়ুর পাশাপাশি ক্ষীর ও পায়েস করা হবে। ফিরিঙ্গিবাজারের পাইকারী নারিকেল বিক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, পূজার মৌসুমে নারিকেলের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় চট্টগ্রাম ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে নারিকল নিয়ে আসতে হয়।

এসএএস/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর