নিজস্ব প্রতিবেদক : পটিয়া উপজেলার বরলিয়া ইউনিয়নের মেলঘর পশ্চিমপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয়া দূর্গপূজা মন্ডপের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার রাতের অন্ধকারে দূবৃত্তরা এ প্রতিমা ভাংচুর করেছে বলে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন।
মেলঘর পশ্চিমপাড়া পূজা উদযাপন কমিটি’র সাধারন সম্পাদক সুমন দে জানান, পূজামন্ডপের লোহার গ্রিলে তালা বদ্ধ অবস্থায় ছিল। কিন্তু রাতে কে বা কারা গ্রিলের ফাকঁ দিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে প্রতিমার মাথা টেনে ভেঙ্গে পেলে। সোমবার ভোর ৫টার দিকে প্রতিমা নির্মাণের কারিগর মন্ডপে কাজ করতে আসলে পূজামন্ডপের নির্মিত প্রতিমার মাথা ভাঙ্গা অবস্থায় দেখে কমিটি’র লোকজনকে খবর দেন। পরে তারা এসে পটিয়া থানা ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি অবহিত করেন।
প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়ে (১১ অক্টোবর) সোমবার সকালে পটিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ, পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার, বরলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম শানু, দক্ষিণ জেলা পূজা উদযাপন কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক রুবেল দেব, পটিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি যদুরঞ্জন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, পৌরসভার সভাপতি প্রণব দাশ, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক তাপস দে, সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ দিপু, উপজেলা জম্মাষ্ঠমী পরিষদ সভাপতি শ্যামল মাস্টারসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন করেন।
এসময় নেতৃবৃন্দরা বলেন,পটিয়ায় সম্প্রদায় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য একদল দুষ্কৃতিকারীরা মেলঘরের পশ্চিমপাড়ার পূজামন্ডপে প্রতিমা ভাংচুর করে। তারা এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানান এবং ঘটনা জড়িতদের গ্রেপ্তার পূর্বক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ জানান, পূজামন্ডপে প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিমা মেরামত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত যে হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, মেলঘর এলাকা প্রতিমা ভাংচুরের সাথে জড়িতদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এসএএস/নচ