ভাঙা সড়ক, ফুটপাত দখল করে অঘোষিত পার্কিং
দেওয়ানহাট টু বারিক বিল্ডিং
নিজস্ব প্রতিবেদক : রবিবার দুপুর ১টা। নগরীর দেওয়ানহাট থেকে গণপরিবহনে আগ্রাবাদ যেতে সময় লেগেছে ৩০ মিনিট। সাধারণত হেঁটে গেলে সময় আরও কম লাগে। অথচ গেলো মাসেও তিন কিলোমিটারের এই রাস্তায় গণপরিবহনে যেতে সময় লাগতো ১০ মিনিট।
তবে এই সড়কে আরেক দুর্ভোগ হচ্ছে ভাঙা সড়ক দখল করে অঘোষিত পার্কিং করা। নগরীর শেখ মুজিব রোডের প্রতিদিনের চিত্র এটি। এই সড়কে লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
বর্তমানে কাঠগড় থেকে শুরু হয়ে চৌমুহনী পর্যন্ত এসেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। নির্মাণ কাজের কারণে ওই রাস্তার চেহারা পাল্টে গেছে। ভাঙা সড়কে ছোট বড় গর্তে চলাচল করে হাজারো ছোট-বড় যানবাহন। এ ছাড়া এই সড়কে ফুটপাতেরও বেহাল দশা। জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে। তাই এ সড়কের পাশের নালা ও খালগুলোও অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।
রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখো গেছে, সারি সারি গাড়ি জ্যামে আটকে আছে। ফুটপাত দখল করে অবৈধ গাড়ির পার্কিং বানিয়েছে গাড়ির শোরুম ও সার্ভিসিং সেন্টারগুলো। এতে যানজট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে।
চৌমুহনী মোড়ে নজরুল ইসলাম নামে এক সিএনজি অটোরিক্সা চালকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই রোডে ভাড়া নিয়ে আসতে ইচ্ছে করে না। ভাড়া গাড়ি চালায়। পেটের দায়ে এই রোডে ভাড়া নিয়ে আসতে হয়।
লেগুনা চালক সাহেল আহমদও একই কথা বলেন। তিনি চট্টলার খবরকে বলেন, দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত এই সড়কে ছোট বড় গর্তে ভরপুর। অনেক সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়। অনেক সময় পানি জমে থাকে। মাঝপথে অনেক সময় গাড়িও নষ্ট হয়ে থাকে। আগে দিনে ২০ ট্রিপ ভাড়া মারতে পারলেও এখন ১০ ট্রিপের বেশি পারি না। আমাদের পোষায় না।
শেখ মুজিব রোডের কয়েকটি শোরুমের স্টাফের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অনেক বছর ধরে তারা গাড়ির ব্যবসা করছে। তাই তাদের গাড়ি বিক্রির সময় শোরুমের সামনে গাড়ি বের করতে হয়। সার্ভিসিংয়ের দোকানিরা জানিয়েছে, ফুটপাতের উপর তাদের গাড়ি সার্ভিসিং করাতে হয়।
তবে সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চালকদের প্রশ্ন তাদের এই দুর্ভোগ কখন কমবে। দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তারা।
এসএএস/এমআই