chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্বেষন ও জ্ঞানের দুয়ার খুলে দিতে হবে: রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বিপ্লবীদের তীর্থ স্থান। অনেক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা এই চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয়েছে।

ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ অনেক কালজয়ী ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল। এই সব ঐতিহ্যবাহী স্থান শনাক্ত করে রক্ষনা- বেক্ষণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্বেষন ও জ্ঞানের দুয়ার খুলে দিতে হবে।

নগরীর যেসব স্থানে মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্মৃতিময় স্থান রয়েছে তা সংরক্ষণ করে স্থাপনা ও ইতিহাস সম্বলিত স্মারক স্থাপন করা হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবন চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

যুদ্ধকালীন সময়ে ফটিকছড়ি থানা কমান্ডার আনোয়ারুল আজিমের সভাপতিত্বে ও কাজী আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদ, এ.কে.এম আবদুল মতিন চৌধুরী, এম.এন ইসলাম, ডা. সরফরাজ খাঁন চৌধুরী বাবুল, আবুল কাশেম চিশতী, এ.এইচ.এম জিলানী চৌধুরী, আবুল বশর, এড. মোহাম্মদ আলী, পান্টু লাল সাহা, মুনিরুল ইসলাম, নির্মল চন্দ্র নাথ, মীর কাশেম, আহমদ হোসেন, মোহাম্মদ ইউছুফ, এস.এম সেলিম, দেওয়ান মাকসুদ আহমদ, সৈয়দ মাহমুদুল হক, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রে আনার প্রয়াস হাতে নিয়েছি। চট্টগ্রাম জেলায় বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক অবস্থান নেই। তাই বৃহত্তর চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করে সংগঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত বিএনপি চক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। অন্যদিকে জঙ্গি তৎপরতাসহ দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে অশুভ শক্তির সকল চক্রান্ত রুখতে আমাদের সকলকে সংগঠিত হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারুল আজিম বলেন, চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের অভিভাবক হিসেবে আমরা সাবেক মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও আমাদের সহযোদ্ধা চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের এক ছাতার নিচে এনে সংগঠিত করতে চাই। আমাদের সবার বয়স হয়েছে। অনেকে আমাদের ছেড়ে ইহলোক ত্যাগ করেছেন। আমরা যারা এখনো বেঁচে আছি তারা আগামী প্রজন্মের কাছে আমাদের ত্যাগ ও সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে ধারণা দিয়ে যেতে পারলে তাদের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে পারবো বলে আশা করি।

এসএএস/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর