chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আইসিসি’র

ক্রীড়া ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী তারকা মারলন স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী আইনের চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে আইসিসি

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, আবুধাবি টি-টেন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত এই অভিযোগ।

৪০ বছর বয়সী স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে যে চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রথমটি হলো- ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করতে পারে এমন পরিস্থিতিতে কারও কাছ থেকে পাওয়া কোনো উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা কিংবা অন্য সুবিধাপ্রাপ্তির কথা দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ না করা। দ্বিতীয়টি- ৭৫০ ডলার বা তার বেশি মূল্যের আতিথেয়তার রিসিট না দেখানো। তৃতীয়টি- দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে সহায়তা না করা এবং আরেকটি- তদন্তের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন তথ্য গোপন করে দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে বাধা বা বিলম্বিত করা।

এই অভিযোগের জবাব দিতে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে স্যামুয়েলসকে।

টি-টেন টুর্নামেন্টের ২০১৯ আসরে ছিলেন স্যামুয়েলস। যেখানে তিনি কর্নাটক টাস্কার্সের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। যদিও কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি।

গত বছর স্যামুয়েলস পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। অমিত সম্ভাবনাময় একজন হিসেবে ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন তিনি। দেশের হয়ে খেলেছেন ৭১ টেস্ট, ২০৭ ওয়ানডে ও ৬৭ টি-টোয়েন্টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ১১ হাজারের বেশি।

তার ক্যারিয়ারের বড় অংশ জুড়ে ছিল অবশ্য সহজাত প্রতিভার স্ফূরণ ও বিতর্ক। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় অবশ্যই ২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ হওয়া।

বিতর্কের কারণেই হয়তো পূর্ণতা পায়নি তার সম্ভাবনার। আরও বড় সমস্যা ছিল শৃঙ্খলায়। ২০০২ সালে ভারত সফরে খবরের শিরোনাম হন টিম কারফিউ ভেঙে। ২০০৮ সালে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গ করে নিষিদ্ধ হন দুই বছরের জন্য।

এছাড়াও বিগ ব্যাশে শেন ওয়ার্নের দিকে ব্যাট ছুঁড়ে মারা, ওয়ার্নের সঙ্গে পরেও নানা বিতর্ক, বেন স্টোকসের সঙ্গে লড়াই এবং আরও নানা বিতর্কে স্যামুয়েলস আলোচনায় ছিলেন নিত্যই।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর