chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে জিতল রাজস্থান

অনবদ্য বোলিং মোস্তাফিজের

ক্রীড়া ডেস্ক: প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে জিতে নিল রাজস্থান রয়্যালস। যেখানে নিজের শেষ ওভারে এসে অনবদ্য বোলিং করে রাজস্থানকে লড়াইয়ে ফেরান দ্যা ফিজ।

যদিও তিনি প্রথম দুই ওভার দারুণ করেছিলেন। ফিল্ডাররা ক্যাচ না ফেললে পেতে পারতেন উইকেটও। কিন্তু নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসেই যেন খেই হারালেন । এক ওভারেই খেয়ে ফেললেন ১৭ রান। পরে আবার ঘুরে দাঁড়ালেন চতুর্থ ওভারে। সঙ্গে কার্তিব তেওয়াগির দুর্দান্ত শেষ ওভার।

মঙ্গলবার রাতে দুবাইয়ে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ২ রানের জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল রাজস্থান। ৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন জসশ্রী জাসওয়াল ও এভিন লুইস। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ২১ বলে ৩৬ রান করে লুইস আউট হলে এই জুটি ভাঙে।

আরেক ওপেনার জাসওয়াল ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৯ রান করে আউট হন। পরে ঝড় তুলেন মহিপাল লমরর। ২ চার ও ৪ ছক্কায় ১৭ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। তবে বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ১৮৫ রান করে অলআউট হয় রাজস্থান। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন পাঞ্জাবের আরশদীপ সিং।

তাদের জবাব দিতে নেমে দারুণ শুরু পায় পাঞ্জাবও। তবে তাতে রাজস্থান ফিল্ডারদের ক্যাচ ফেলে দেওয়ার কৃতিত্বই বেশি। কয়েক বার রাহুলকে সুযোগ দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১২০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন চেতেন সাকারিয়া। ৪ চার ২ ছক্কায় ৩৩ বলে ৪৯ রান করা রাহুলকে ফেরান তিনি।

কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরত যান আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালও। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ বলে ৬৭ রান করে আউট হন তিনি। পাঞ্জাবের জন্য ম্যাচটা সহজ করে ফেলেন নিকোলাস পুরান ও এইডেন মার্করাম। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ৮ রান।

কিন্তু ম্যাচ জমিয়ে ফেলেন মুস্তাফিজ। ১৯তম ওভারে কোনো বাউন্ডারি না খেয়ে তিনি মাত্র চার রান দেন। শেষ ওভারে যেন নিজের জীবনের সেরা ওভারটা করেন কার্তিব তেওয়াগি। পুরান ও হুদাকে ফিরিয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে দেন মাত্র ১ রান। ২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজস্থান।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর