chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘হানিমুন’ শব্দটি এলো যেভাবে! 

বাংলায় ‘মধুচন্দ্রিমা’

চট্টলা ডেস্ক: হানিমুন বা মধুচন্দ্রিমা নিয়ে সব নব্যবিবাহিতেরই আগ্রহ থাকে। বিয়ের পর চেনা জগৎ থেকে দূরে কোথাও কয়েকটা দিন কাটানোর আনন্দই আলাদা। সেখানে দু’ জন মানুষের যৌথ জীবন-যাপনের শুরুর কটা দিন কাটে রোমান্টিকতায়।

সংক্ষিপ্ত অক্সফোর্ড অভিধান অনুযায়ী হানিমুন অর্থ হলো- বিয়ের প্রথম মাস। তবে হানিমুনের বর্তমান অর্থ হচ্ছে- বাড়িতে বসতি স্থাপনের আগে, সদ্যবিবাহিত দম্পতির একসঙ্গে ছুটি কাটানো।

কিন্তু হানিমুনের ধারণাটি এলো কোথা থেকে ? শব্দটিরও উৎপত্তি হলো কিভাবে ?

এই নিয়ে যেন কৌতূহলের শেষ নেই রোমান্টিক হৃদয়ে।

হানিমুন কথাটা এসেছে ‘হানি ওয়াইন’ থেকে। ওয়াইনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে তৈরি এই হানি ওয়াইন ফুলসজ্জার রাতে নতুন জামাইকে উপহার হিসেবে দিতেন শ্বশুর! এই ‘হানি ওয়াইন’ ছিল বলবর্ধক, ঠাণ্ডায় গা গরম করার মহৌষধ। আর এভাবেই হানিমুনের উৎপত্তি।

আবার অন্য একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিয়ের পর টানা এক মাস একপাত্র করে মধু দিয়ে তৈরি মদ খেতে হতো নব দম্পতিকে। মধু দিয়ে তৈরি মদ খাওয়ার প্রথা সেই হুন রাজা অ্যাটিলার সময় থেকে চালু ছিল। যার থেকেই এসেছে হানিমুন শব্দটি।

অনেকে মনে করেন, মুন শব্দটির সঙ্গে ঋতুচক্রের যোগ রয়েছে। আর সাথে হানি জুয়ে দেওয়ার কারণ বিয়ের পর নব্যবিবাহিতদের মধ্যে অন্য রকম এক আনন্দ, ভালো লাগা কাজ করে। সেটাকে মধুর সঙ্গে মিলিয়েই এ নাম দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে হানিমুনকে মধুচন্দ্রিমাও বলা হয়। বাংলাদেশি দম্পতিরা বিয়ের পরই দ্রুত সময়ের মধ্যে কোনো না কোনো পর্যটন এলাকা থেকে ঘুরে আসেন প্রথম দিকের স্মৃতি ধরে রাখতে।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর