chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বৈঠা হাতে মানববন্ধনে সাম্পান মাঝিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘাটে বহিরাগত দিয়ে অতিরিক্ত মাশুল আদায়, চাঁদাবাজি করা এবং কর্ণফুলী নদী থেকে সাম্পান বিলুপ্ত ও মাঝিদের বিতাড়িত করা চক্রান্তের প্রতিবাদে বৈঠা হাতে মানববন্ধন করেছে সাম্পান মাঝিরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন করে কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন।

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কর্ণফুলী গবেষক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আলীউর রহমান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে পাটনিজীবী নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ঘাটে বহিরাগত দিয়ে অতিরিক্ত মাশুল আদায়-চাঁদাবাজি করা এবং কর্ণফুলী নদী থেকে সাম্পান বিলুপ্ত ও মাঝিদের বিতাড়িত করা চক্রান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। যেখানে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ, বাংলাবাজার ঘাট সাম্পান মাঝি সমিতির সভাপতি লোকমান দয়াল, সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হকএবং সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুসসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

বৈঠা হাতে মানববন্ধনে সাম্পান মাঝিরা
বাংলা বাজার (ইছানগর) সাম্পান ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। আলোকচিত্রী – এম ফয়সাল এলাহী

জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর প্রতিটি ঘাটের চেয়ে বাংলাবাজার (ইছানগর) ঘাটে সাম্পান মাঝিরা যাত্রীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঝিদের জরিমানাও করেছিল। তারপরও মাঝিরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে থাকে। যাত্রীরা মাঝিদের অতিরিক্ত ভাড়াও দিতো আবার ঘাটের ইজারাদারকেও টাকা দিয়ে ঘাট পার হতে হতো। এর পরেও মাঝিরা ধর্মঘটের নামে।

যার ফলে এখনো ওই ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীরা বলেন, কর্ণফুলীর সব ঘাটের মতো বাংলাবাজার ঘাটেও নিয়মমেনে ভাড়া আদায় করা হোক। যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত আদায় করা ভাড়া প্রত্যাহার করা হোক।

কর্ণফুলী বাংলাবাজার ঘাটের ইজারাদার আবুল মনসুর আলী বাপ্পী বলেন, বাংলাবাজার ইছানগর ঘাটে সাম্পান মাঝিরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে। এই কারণে তাদেরকে জরিমানাও করেছিল ম্যাজিস্ট্রেট। আমিও বলি এই ঘাটের মাঝিরা সিটি করপোরেশনের বেধে দেওয়া ভাড়া আদায় করুক। যাত্রীদের হয়রানী বন্ধ করা হোক।

এসএএস/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর