chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘আন্দোলনের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না- এ বক্তব্য হাস্যকর’

ডেস্ক নিউজ: আন্দোলনের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না- এমন বক্তব্য হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১ পাসের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। চেয়ে হাস্যকর কথা আর নেই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কে কাকে আন্দোলনের ভয় দেখায়। আওয়ামী লীগ সারা জীবন আন্দোলন করেছে, আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে।

বিএনপির উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারা আন্দোলন করবে- যারা জনসম্পৃক্ততাহীন, জনবিরোধী, মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত। জনগণ এই সরকারের সঙ্গে আছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল- তা সঠিক নয়। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ ছিল। তবে টেলিভিশন ও অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান পুরোপুরি চলমান ছিল।

‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে পাঠদান চলছে। আর পরীক্ষাও চলেছে। সরকারি ও বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই চলেছে। খুব একটা সেশনজটেরও সুযোগ বেশি নেই। আমরা খুব সহজে এই সমস্যার সমাধান করতে পারব।’

দীপু মনি বলেন, আমরা নতুন শিক্ষাক্রমে যাচ্ছি। পিএসসি ও জেএসসি নিয়ে যা যুগোপযোগী আমরা ঠিক সেইভাবেই করব।

আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জরিপের উল্লেখ করে একজন সংসদ সদস্য বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বেকার থাকে। সারা দেশে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেখানে অনার্স-মাস্টার্স চালু করার অবকাঠামো নেই সেখানে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়েছে তা চালু করতে। যেখানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নেই সেখানেও অনার্স-মাস্টার্স খুলে যত্রতত্র সনদ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য আমরা জনপ্রতিনিধিরাই অধিকাংশ দায়ী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই দিকটা কাটিয়ে ওঠতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করছে। অনেকগুলো শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান আছে, অনেকগুলো খুবই ভালো প্রতিষ্ঠান। সেগুলো ছাড়া আর বাকিগুলোতে মাস্টার্সের বিষয় থাকবে না। সেখানে অনার্স থাকবে, বিএ, বিএসসি, বিকম থাকবে। ডিপ্লোমা করানো হবে। যাতে তারা বিভিন্ন কর্মে যুক্ত হতে পারেন।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর