chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ডেস্ক নিউজ: আজ ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালের এইদিনে ৮২ বছর বয়সে তিনি না-ফেরার দেশে চলে যান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ভুবনে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও মুকুটহীন নবাব নামে খ্যাত বরেণ্য অভিনেতা আনোয়ার হোসেন। কীর্তিমান এই অভিনেতার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী।

ঢাকার চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি অভিনেতা ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি সর্বশেষ কাজ করেছেন ২০০৬ সালে কাজী মোরশেদ পরিচালিত ‘ঘানি’ সিনেমায়।

আনোয়ার হোসেন ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত স্কুল জীবন থেকেই তিনি অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। স্কুল জীবনে প্রথম অভিনয় করেন ‘আসকার ইবনে সাইকের পদক্ষেপ’ নাটকে। এরপর বিভিন্ন মঞ্চে তিনি নাটকে অভিনয় করেছেন। ময়মনসিংহে আনন্দ মোহন কলেজে পড়াকালীন সময়েও তিনি অনেক মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন।

১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় আসার পরপরই তিনি নাসিমা খানমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সে বছরই আনোয়ার হোসেনকে পরিচালক মহিউদ্দিনের সঙ্গে তার সহকারি মো: আনিস পরিচয় করিয়ে দেন। আর প্রথম পরিচয়েই আনোয়ার হোসেন সুযোগ পান ‘তোমার আমার’ সিনেমাতে অভিনয়ের। এটাই ছিলো আনোয়ার হোসেনের অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র।

যে সিনেমাতে অভিনয় করে সে সময় পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলেন ৩০০ টাকা। এরপর থেকে আনোয়ার হোসেন অসংখ্য সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। ২০০৭ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি ৫ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

তার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত সিনেমাগুলো হচ্ছে, সূর্যস্নান (১৯৬২), জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), নবাব সিরাজউদ্দৌলা (১৯৬৭), লাঠিয়াল (১৯৭৫), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), এমিলের গোয়ান্দা বাহিনী (১৯৮০), পুরস্কার (১৯৮৩), ভাত দে (১৯৮৩) ইত্যাদি।

‘লাঠিয়াল’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। পরে অবশ্য আরো দু’বার তিনি এ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্রে তার অকৃত্রিম অবদানের জন্য ১৯৮৫ সালে লাভ করেন দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানা একুশে পদক।

উল্লেখ্য, আনোয়ার হোসেন খান আতা পরিচালিত ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ সিনেমাতে অভিনয় করে ঢাকাই সিনেমাতে নবাব হিসেবে স্বীকৃতি পান।