বাংলাদেশি ১২ তাবলিগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায় ভারতীয় পুলিশের
দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের তাবলিগ জামাতের অংশ নেওয়া ১২ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পুলিশ। ইতোমধ্যে ২জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে আছেন।
গতকাল শনিবার শামলি জেলায় পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায়, আটক বাংলাদেশি নাগরিকরা সবাই পর্যটক ভিসা নিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং ভিসার শর্ত ভেঙে তারা ধর্মীয় প্রচারণা ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনী বলে জানিয়েছেন জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে ১২ বাংলাদেশির মধ্যে দুজনের করোনাভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভি আসে। তাদেরকে থানা ভবন শহরের একটি কলেজে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে। আটককৃতদের ভিসার মেয়াদও ইতিমধ্যে ফুরিয়ে গেছে। যে কারণে ১২ জনের বিরুদ্ধেই থানা ভবন পুলিশ স্টেশনে উক্ত মামলাটি দায়ের করা হয়।
ওই ১২ বাংলাদেশিকে শামলি জেলার ভাসানি গ্রামের একটি স্থানীয় মসজিদে পাওয়া যায়। তাদের আশ্রয়দানকারী দুই ভারতীয়কেও আটক করা হয়েছে।
তারা সবাই দিল্লির তাবলিগ সমাবেশে অংশ নেন। পরে সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘চিল্লা’ বা ধর্মীয় প্রচারে বেরিয়েছিলেন।
গত ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিজামউদ্দিনে চলছিল তাবলিগ জামাতের ইজতেমা। এর পরেও প্রায় ১০-১২ দিন ধরে নিজামউদ্দিন মসজিদে ছিলেন প্রায় কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি, যাদের মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশি ছিলেন। তাবলিগের এসব প্রতিনিধি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মিলিয়ে ৬শতাধিক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন।