chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অনিশ্চয়তায় আফগান নারী ক্রিকেট

খেলা ডেস্ক: সম্প্রতি আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। ক্ষমতা এখন তালেবানদের হাতে। তাদের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর থেকেই সংশয় ছিল দেশটির ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছিল দেশটির নারীদের খেলাধুলায় অংশ নেওয়া নিয়ে। এবার সে আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। তালেবানরা আফগান নারীদের ক্রিকেট খেলতে দেবে না বলে জানা গেছে।

পর্দা থাকবে না এমন সব খেলা থেকে নারীদের বিরত রাখার কথা বলেছেন ক্ষমতাশীল তালেবানের সংস্কৃতিবিষয়ক কমিশনের উপপ্রধান আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এমনটাই আভাস দেন তিনি। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। তালেবান মুখপাত্রের এ ঘোষণার পরই উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

নারী ক্রিকেট আশঙ্কার মুখে পড়লেও ছেলেদের ক্রিকেটে কোনো সমস্যা হয়নি। আফগানিস্তান দল বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও নিচ্ছে ভালোভাবেই।

অস্ট্রেলিয়ার টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবান সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক বলেন, ‌’আমার মনে হয় না মেয়েদের ক্রিকেট খেলতে দেওয়া উচিত। মেয়েদের ক্রিকেট খেলার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ, ক্রিকেট খেলতে গেলে মেয়েদের পুরোপুরি পর্দায় ঢাকা থাকা নিয়ে সংশয় আছে।‌’

তবে নিষেধাজ্ঞা যে শুধু ক্রিকেটের জন্য তা নয়, অন্য খেলাও নিষিদ্ধ করে দিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‌’শুধু ক্রিকেট নয়, অন্য যে কোনও খেলা যাতে শরীর দেখা যায় সেসব খেলাই নারীদের জন্য নিষিদ্ধ।‌’

ইসলামিক ড্রেস কোড পরে খেলার সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি।

বিড়ম্বনার এখানেই শেষ নয়। তালেবানদের এ ধরনের বক্তব্যের পর নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আগামী ডিসেম্বরে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলার কথা রয়েছে আফগানিস্তানের। তবে নারীদের ক্রিকেটের প্রতি তালেবানদের বিদ্বেষী আচরণের কারণে শঙ্কায় পড়েছে আফগানিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফর। কেননা নারী ক্রিকেটের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তাই বিষয়টি ভাবাচ্ছে দেশটির পুরো ক্রিকেট অঙ্গনকেই।

২০১৭ সালে আফগানিস্তানকে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে ঘোষণা করে। শিগগির মেয়েদের জাতীয় দল গঠনেরও প্রক্রিয়া ছিল। এ লক্ষ্যে ২০২০ সালের নভেম্বরে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) ২৫ নারী ক্রিকেটারকে চুক্তির আওতায় আনে। তবে তালেবানদের নেওয়া সিদ্ধান্তে হয়তো অন্ধকারের দিকেই যাচ্ছে দেশটির নারী ক্রিকেট!

এন-কে

এই বিভাগের আরও খবর