চবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করার অভিযোগে বামপন্থী ৩ নেতাকে শোকজ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মিটন চাকমা নামের এক শিক্ষার্থীকে প্ররোচনা দিয়ে মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করার অভিযোগে তিন বামপন্থী নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে, অভিযুক্তদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়েরের জন্য মিটন চাকমাকে বাধ্য করেছেন। অভিযোগকারী মিটন চাকমা পালি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ তিন শিক্ষার্থীর বিভাগে পাঠানো হয়। নোটিশে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত তিন বামপন্থী নেতা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজেশ্বর দাশগুপ্ত, ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শাহ মোহাম্মদ শিহাব ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের আশরাফি নিতু। এদের মধ্যে প্রথম দুইজন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কর্মী এবং অপরজন শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য।
অভিযুক্ত ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আশরাফি নিতু বলেন, অভিযোগপত্রটা খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বিষয়ে লেখা আছে জোরপূর্বক মানববন্ধনে আসতে বাধ্য করার অভিযোগ। অথচ পরে লিখেছে ‘নিম্নোক্ত ব্যাক্তিদের উৎসাহ ও প্ররোচনায়’। অভিযোগকারী মিটন চাকমা পিসিপি (ইউপিডিএফ) কর্মী। সে তার নিজের সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে এসেছে। সেদিনের কর্মসূচির বিষয়ে তার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনোরকমের যোগাযোগ হয় নাই এবং সে আমার পূর্বপরিচিতও না।
তিনি আরও বলেন, এই অভিযোগের মূলত কোনো ভিত্তিই নেই। যেই অঙ্গীকারনামাকে ঘিরে পরিবহনের দাবি না তুলার কথা উঠেছে সেটা নিয়ে আমরা শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। এই অঙ্গীকারনামা দিয়ে যে ছাত্রদের জিম্মি করে রাখা হচ্ছে সেটার একটা জলন্ত উদাহরণ হলো এই মিথ্যা ‘অভিযোগপত্র’।
আরেক শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ শিহাব বলেন, মিটন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্র সংগঠন করে সে তার সংগঠনের যায়গা থেকে নিজ উদ্যোগে আন্দোলনে আসছে। প্রক্টর অফিসে তাকে আটকে রেখে জোর করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ লেখিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সে আমাদের কাছে সেটি স্বীকার করে। এ বিষয়ে জানতে মিটন চাকমাকে একধিকবার মোবাইলে ফোনে কল করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, অভিযোগকারী বিভাগের পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে সবার আগে লিখিত দিয়েছে তার পরিবহন ও আবাসিক হল খোলা লাগবে না। পরে আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি একদিকে লিখিত দিয়েছো, অন্যদিকে মানববন্ধন করছো, বিষয়টা কি? তখন সে জানালো তাকে বাধ্য করা হয়েছে মানববন্ধনে অংশ নিতে। পরে সে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এখানে তাকে অভিযোগ দিতে বাধ্য করার কিছু নেই। সে স্ব ইচ্ছায় অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।
এসএএস/জেএইচ/চখ