chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কিউইদের সমতা নাকি বাংলাদেশের সিরিজ জয়!

ক্রীড়া ডেস্ক: ঘরের মাঠে বাংলাদেশ অপরাজেয়। সেটা গত কয়েক বছরে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ক্রিকেটের বিশ্ব মোড়লরা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মতো টি-টোয়েন্টি জায়ান্টদের হারিয়ে সেই ব্যাপারটি আরও শক্তিশালী করেছে বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টির প্রথম দুটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসেই ছন্দপতন টাইগারদের। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় মাঠে নামছে দুই দল। মিরপুরে চতুর্থ ম্যাচটিতে জয় আনতে পারলেই সিরিজ নিশ্চিত টাইগারদের আর ম্যাচ হাত ফসকে বেরিয়ে গেলেই সমতায় ফিরবে কিউইরা।

মিরপুরের ঘূর্ণি জাদুতে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ কিন্তু নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় সারির দলের বিপক্ষে জিততে ঘাম ছুটে যাচ্ছে টাইগারদের। প্রথম ম্যাচটিতে ৬০ রানে অলআউট হওয়া নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের তিনটি উইকেট ফেলেও দিয়েছিল। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তো হেরেছিল মাত্র চার রানের ব্যবধানে। পাশার দান পাল্টে গেল তৃতীয় ম্যাচে এসে। নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না টিম টাইগার্স।

এবার মিরপুরের মন্থর উইকেটে সিরিজে সমতায় ফেরার চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে টম ল্যাথামবাহিনী। অন্যদিকে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টির দুই জায়ান্ট বধের সামনে দাঁড়িয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলও।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য ১২৯ রান লাগত বাংলাদেশের। কিন্তু স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর ৭৬ রানেই। পরপর দুই বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে আউট হন ওপেনার লিটন দাস। তিন নেমে সাকিব আল হাসানও চালিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট। বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্স বললেন, মিরপুরের উইকেট অমন তেঁড়ে ফুঁড়ে খেলার মতো নয়। এই উইকেটে চালিয়ে খেলার বদলে সিঙ্গেল নেওয়াই ভালো। স্ট্রাইকরেট ৬-এ রাখা উচিত বলেছেন প্রিন্স।

সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত কোচ গ্লেন পোকন্যাল বলেছিলেন, মিরপুরের উইকেটে বড় রান তোলার চেষ্টা করা ভুল। একদিন আগে বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাসও বলেছেন, এই উইকেট সিঙ্গেল নিয়ে আগানোই ভালো। আজ অ্যাশওয়েল প্রিন্সও বললেন একই কথা।

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বেশি তাড়াহুড়া করাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের বলছেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় রান তাড়ায় আমরা আরও দায়িত্বশীল হতে পারতাম। আমরা শুরুটা ভালোই করেছিলাম। প্রথম ওভারে নাঈমের একটি বাউন্ডারি, দ্বিতীয় ওভারে লিটনের দুটি বাউন্ডারি, ২ ওভার শেষে রান ছিল ২০। এর পরের ৩-৪ ওভারে দ্রুত অনেক উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আমরা অনেক বেশি আগ্রাসী ব্যাটিং করেছি। আমার মনে হয় না পিচ খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছিল। ১২৯ রান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত স্কোর ছিল। আরেকটু দেখেশুনে খেললে রান তাড়া করতে পারতাম।’

এদিকে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন কিউই প্রধান কোচ পোকন্যাল। তিনি বলেন, ‘শুধু আমাদের বিপক্ষে নয়, বিশ্বের যেকোনো দলের সঙ্গেই তাদের ঘরের মাটিতে রেকর্ড অসাধারণ। হারের পর স্বাভাবিকভাবেই তারা ঘুরে দাঁড়াবে শক্তভাবে, আগের হারটাও নিশ্চয়ই খোঁচাচ্ছে তাদের। (তবে) আমরা অবশ্যই তাদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত। তবে বলতে গেলে, আমরা আগুনের জবাব আগুন দিয়েই দেব, আমাদের সে সামর্থ্য আছে।’

তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে মাত্র ৭৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের যেটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে সফরকারীরা। অথচ দলীয় সামর্থের হিসেবে নিউজিল্যান্ডের এই দলটাকে ‘দ্বিতীয় সারির’ও বলা যায়। পোকন্যাল বলছেন, ঘুরে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে গেছেন তার শিষ্যরা। এই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য তাদের।

তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ ব্যাপার যে আমাদের অনেক কিছুই পাওয়ার আছে। একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে আমাদের সমানে। আগামীকাল ২-২ করে ফেলতে পারি আমরা। তার পর দেখা যাবে শেষ ম্যাচে কী হয়। ছেলেরা চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।’

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে যথারীতি বিকেল চারটায় শুরু ম্যাচ।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর