chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘লকডাউন থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন নগরবাসীকে সতর্ক করে বলেছেন, লকডাউন থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব আরোপ করে সবসময়ই সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মহল।

‘কিন্তু মাস্ক না পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং সামাজিক সংঘবদ্ধতা থেকে দূরে থাকতে না পারার কারণে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের হার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।’

সুজন বলেন, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ তুলনামূলক কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় সরকার লকডাউনের সকল বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়। তবে নিজেদের অজ্ঞতার কারণে পরিস্থিতি যদি পুনরায় ভয়াবহ আকার ধারণ করে ফের কঠোর হবে সরকার।

আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর পাহাড়তলী কাঁচাবাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুরোধ জানিয়ে সুজন এসব কথা বলেন।

সুজন বলেন, বিশেষজ্ঞগণ বারবার সতর্ক করছেন টিকা দেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কারণ ডাবল ডোজ দেওয়ার পরও অনেকে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নাই।

‘তবে সরেজমিনে বেশ কিছু জনসমাগম স্থলে পরিদর্শন করে দেখা যাচ্ছে, এখনো অনেক মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরাঘুরি করছে। বিয়ে, শাদী, বিনোদন কেন্দ্র ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিতে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি উপেক্ষা করে ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’

বেপরোয়া চলাফেরা, সামাজিক অনুষ্টান বৃদ্ধি, মাস্ক না পরার প্রবণতা আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।

‘আমরা যদি আন্তরিকতার সাথে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে পারি তাহলে দেশে করোনা সংক্রমণ বর্তমানে যে হারে আছে তার চাইতে আরো কমতে বাধ্য।’

জনগণ যদি মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকে অভ্যাসে পরিণত করতে পারে তাহলে বুস্টার ডোজের কাজ করবে বলে মত প্রকাশ করেন সুজন। ‘সুতরাং সবাইকে নিজের এবং নিজের পরিবারের জীবন রক্ষার্থে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই।’

তিনি বলেন, কিন্তু যদি আমরা এসব বিধিগুলো মানতে ব্যর্থ হই তাহলে সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুনরায় লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। এতে করে সকলেই অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। লকডাউনে বিশেষ করে গরিব, দিনমজুরসহ মধ্যম আয়ের জনগণ কষ্টের মধ্যে পড়েন।

তিনি উপস্থিত ক্রেতা, বিক্রেতাদের পাশাপাশি জনসাধারণকে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন এবং বিনয়ের সাথে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানান।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব সাব্বির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান, পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, ফরহাদ আহমেদ, মো. শাহজাহান, মো. মনসুরুল হক, মো. বাবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর