chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও,সহসা খুলছেনা হাউজটিউটরদের কপাল!

অভিভাবকদের অনীহা

নিজস্ব প্রতিবেদক:দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলতে পারে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তেমনটি আভাস সরকারের।

এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা দিলেও হতাশা আর দুশ্চিন্তা টিউশন মাস্টারদের মাঝে।কারণ একটাই পাল্টেছে শিক্ষার ধরণ, সিলেবাস ও পরীক্ষা পদ্ধতি। এতে কপাল মন্দই থেকে যেতে পারে হাউজটিউটরদের।

যারা তাদের টিউশনের টাকা দিয়ে চালিয়ে নিতো নিজেদের খাওয়া পড়া। বাড়িতে পাঠাতো অল্প কিছু হাত খরচ। তাদের কেউ এখন থাকছেন গ্রামে, কেউ বা শিক্ষার পাঠ সমাপ্তি না করেই চাকরি করছেন আর কেউ কেউ হাতাশায় নিমজ্জিত হয়ে চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে আছেন কবে খুলবে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়?

এদিকে ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার দীর্ঘ এক বছর পাঁচ মাস ২৪ দিন বন্ধের পর খুলছে স্কুল-কলেজ। তবে শুরুতে সেটিও পুরোদমে নয়।

এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করলেও আর বাকিরা করবে সপ্তাহে একদিন।এমন পরিস্থিতিতে টিউশন কতটা মিলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে টিউশন নির্ভর শিক্ষার্থীরা।

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষার্থী নুরুল আলম। বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ি। চট্টগ্রামে পড়াশোনা পাশাপাশি টিউশন করে গ্রামে বৃদ্ধ মা-বাবা জন্য টাকা পাঠাতেন। দেড় বছর ধরে টিউশন না থাকায় সে এখন চাকরি করছে নগরীর আন্দরকিল্লার একটি প্রিন্ট হাউজে। তিনি বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টিউশন চলে গেছে,বাড়িতেও টাকা পাঠাতে হয়।নিজের পড়ালেখার ক্ষতি হলেও বাধ্য হয়ে এ চাকরি নিয়েছি।

অনার্স পড়ুয়া দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুজয়। নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি ও কোচিংয়ে ক্লাস নিয়ে প্রতি মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করতেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ হওয়ায় এক বছর ধরে তার টিউশন ও কোচিং-এ ক্লাস নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
সুজয় বলেন,আমি গ্রামে চলে আসছি প্রায় এক বছর হয়ে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং খুললে শহরে চলে যাব। কিন্তু আগের মতো টিউশন পাবো কিনা জানা নেই।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষার্থীদের হাউজটিউটর দেয়ার তেমনটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না অভিভাবকরা। তারা মনে করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরে নতুন সিলেবাসে পাঠদান হবে,পরীক্ষা পদ্ধতিও পরিবর্তন হচ্ছে সব মিলিয়ে ছেলে-মেয়েদের হাউজটিউটর লাগবে কিনা সেটা দেখার বিষয়। আবার করোনার এই সময়ে আর্থিক সংকটে হাউজ টিউটর রেখে বাড়তি খরচ করতে অনীহা দেখা যাচ্ছে অভিভাবকদের মাঝে।

এমএআর/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর