chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বনানীর বাসায় গিয়ে চমকে গেলেন পরীমনি!

বিনোদন ডেস্ক: প্রায় এক মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাসায় যেতেই চমকে গেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। কারাগার থেকে সকালে বাসায় গিয়ে জানতে পারেন বনানীর বাসাটি তাকে ছাড়তে হবে।

আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে একটি সংবাদ মাধ্যমকে পরীমনি বলেন, কারাগার থেকে ঘরে ঢোকার পর বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন ফ্ল্যাট মালিক।

এখন কি তাহলে আমার বসবাসের অধিকারটা পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে ওরা? ওরা যা চেয়েছিল, তা-ই কি হচ্ছে? আমি কি তাহলে ঢাকা ছেড়ে চলে যাব, নাকি দেশ ছেড়ে চলে যাব?

আলোচিত এ নায়িকা বলেন, আমি তো একা থাকি না। আমার বয়স্ক নানুভাই আছেন। হঠাৎ করে এসব কী! হঠাৎ করে কই যাব, সেটা কি কেউ বলতে পারেন?

ঢাকাই ছবির এ চিত্রনায়িকা বলেন, এখন এই মুহূর্তে আমাকে কে বাসা খুঁজে দেবে? তিনি জানান, চার দিন আগে তাকে এই বাসা ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ বাসায় ফিরে জানতে পারেন তিনি।

এর কিছুক্ষণ পরেই পরী ফের ওই গণমাধ্যমকে ফোন করে বলেন, বাসা ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে সামান্য ভুল হয়েছে। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে পরীমনি একটি গণমাধ্যমকে ফোন করে বলেন, ‘আসলে এটা একেবারেই ভুল বোঝাবুঝি। গণমাধ্যমে সংবাদটি যেভাবে এসেছে তা ঠিক নয়।

আমার বাড়িওয়ালা আন্টি আমাকে কী পরিমাণ আদর করেন এবং সাপোর্ট দেন সব সময় সেটা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। আমি এ বাসায় আজীবন থাকলেও তিনি আমাকে বেরিয়ে যেতে বলবেন না।

আমার তো মা নেই, আমি তাকে সেভাবেই দেখেছি সব সময়। কিন্তু বাসায় ঢুকেই যখন ছাড়ার কথাটি শুনলাম, তখন আমি আসলে হতাশ হয়ে পড়ি।’

পরী আরও বলেন, ‘পরে আমি বাড়িওয়ালা আন্টির সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারি আসল ঘটনা। উনারা আসলে আমাকে সে অর্থে বাসা ছাড়তে বলেননি।

আন্টি আমাকে বললেন, গত এক মাস ধরে প্রতিদিন যেভাবে গণমাধ্যমকর্মী, মোবাইল হাতে ভক্ত, ইউটিউবার আর প্রশাসনের লোকরা এখানে ভিড় করছেন, তাতে বাড়ির অন্য সদস্যদের স্বাভাবিক জীবন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে জন্য অনেক ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটিয়ার খানিক অভিযোগও রয়েছে।

এভাবে চলতে থাকলে তো অন্যদের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। আন্টির এই কথাগুলো একদম সত্যি। এবং আমি নিজেও সিকিওর না এই বাসাতে। কারণ, পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এখন এই বাসার ঠিকানা জানে। ফলে আজ হোক কাল হোক আমাকে ঠিকানা বদলাতেই হবে।’

এসব বিবেচনা করে পরীমনি নিজেও এ বাসায় থাকার জন্য আর আগ্রহী নন। তবে এখনই সেটি ছাড়ছেন না।

পরী বলেন, ‘আমি এই বাসাটা হয়তো ছাড়বো। কারণ, আমি নিজেও স্বস্তি ফিল করছি না। জানালা দিয়ে উঁকি দিলেই দেখি অসংখ্য অচেনা মানুষ মোবাইল হাতে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে এটা আমার জন্য খুবই বিপজ্জনক ও বিব্রতকর।

আমার জন্য অন্য মানুষদের স্বাভাবিক জীবন নষ্ট করতে পারি না। তাই তিন-চার মাস পর বাসাটা ছাড়ার পরিকল্পনা করছি। কারণ, এখানে থাকলে আমার এবং প্রতিবেশী উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।’

পরী আরও অনুরোধ করেন মিডিয়াকর্মী ও ভক্তদের, যেন তার বাসার সামনে এসে ভিড় না জমান। কারণ, এই ধারা অব্যাহত থাকলে তাকে নিজের জন্য হলেও দ্রুত বাসাটি ছাড়তে হবে। যেটি তিনি চান না।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ কারাগার থেকে পরীমনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিনের আদেশ দেন।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর