chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হেলিকপ্টারে ৫ লাখ গাছের বীজ ছিটালো লামা বনবিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুজিব বর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’-এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে মাতামুহুরী ও সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির ৫ লাখ গাছের বীজ ছিটিয়েছে লামা বন বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশ থেকে সীডবল নিক্ষেপের মাধ্যমে চাম্পাফুল, পুতিজাম, ঢাকিজাম, কালোজাম, গামারি, করই, জারুল, হারগাজা, চাপালিশ, তেলসুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির বীজ ছিটানো হয়।

বীজ ছিটানোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের বান্দরবান রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক।

এতে ৫৭ বিজিবি’র অধিনায়ক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মেদ আব্দুল আউয়াল সরকার, বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস. এম. কায়চার, আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল ও শেখ মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ব্রিটিশ আমলের ১৮৮০ ও ১৮৮৫ সালের দিকে মাতামুহুরী ও সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সেগুন, গর্জন, চাম্পাফুলসহ নানা প্রজাতির বীজ ছিটানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক বলেন, মাতামুহুরী সাঙ্গু বাঁচলে বান্দরবান বাঁচবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জীব-বৈচিত্র্য দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র্যের অনেক প্রজাতি ইতোমধ্যে আমাদের পরিবেশ থেকে হারিয়ে গেছে। বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী বিরল তালিকায়় স্থান করে নিয়েছে। এ ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে বৃক্ষ ও বনাঞ্চল।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি আত্মনির্ভরশীল, উন্নত ও টেকসই, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমগ্র বাংলাদেশে টেকসই পরিবেশ উন্নয়নের অংশ হিসেবে সবুজায়ন ও বনায়ন সৃজন কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়সার জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উপর থেকে ছিটানো বীজ অঙ্কুরোদগম হলে বান্দরবান তথা গোটা দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে এবং এ বীজ রোপণ কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে।

এরপর লামা বন বিভাগের বনায়ন প্রকল্পের আওতায় আলীকদম-পোয়ামুহুরী সড়কে ফলজ, বনজ ও সৌন্দর্য বর্ধনকারী বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপণ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক।

এ বনায়নের জন্য লামা বন বিভাগকে ৫৫ হাজার চারা দিয়ে সহায়তা করেছে বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানী বাংলাদেশ।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর