chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ই-অরেঞ্জ: ৫ জনের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা, স্থগিত ব্যাংক লেনদেন

ডেস্ক নিউজ: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সোনিয়া মেহজাবিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগামী ৩০দিনের জন্য এসব অ্যাকাউন্টে লেনদেন স্থগিত রাখতে হবে। রবিবার সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারার আওতায় এ নির্দেশনা দিয়েছে বিএফআইইউ। চিঠিতে ই-অরেঞ্জ ডট শপের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে গুলশানের ৫এ রোডের ১৩৬/১৩৭ নম্বর বাড়ি।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সোনিয়া মেহজাবিনের নামের পাশে অফিসের ঠিকানার পাশাপাশি ৩৮ গুলশান এভিনিউয়ের গ্লাস হাউজের ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে ই-অরেঞ্জ ডট শপ, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সোনিয়া মেহজাবিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুকুর রহমানের ব্যাংক হিসাব তলব করে বিএফআইইউ।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য চাওয়া হয়। তাদের লেনদেনে নানা অসামঞ্জস্য পাওয়ায় অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা করে ভ্যাট গোয়েন্দারা।

ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালিসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহক থেকে টাকা নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে পণ্য সরবরাহ করছে না। আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছে না তারা। এসব ঘটনায় পুরো ই-কমার্স খাত বিতর্কের মুখে পড়েছে।

এদিকে আজ রবিবার মো. সাইফুল খাঁন (৩৭) নামে প্রতারণার শিকার এক গ্রাহক বাদী হয়ে ই-অরেঞ্জের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

কুমিল্লার প্রতারিত ৩৯ জন গ্রাহকের পক্ষে ৪ কোটি টাকা দাবি করে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বিথী আক্তার ও কাওসারকে আসামি করা হয়।

কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী মো. সাইফুল খাঁন জানান, ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় লাখ লাখ টাকা হারানোর ভয়ে কুমিল্লা ৩৯ জনসহ সারাদেশের গ্রাহকরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। দ্রুত বিনিয়োগকৃত টাকা বা পণ্য ফিরিয়ে দেওয়াই তাদের দাবি। তারা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছেন।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর