chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

খালেদা জিয়া মিথ্যাচারী ও অকৃতজ্ঞ: চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যাচারী ও অকৃতজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অকৃতজ্ঞ এবং দুরাচারি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেহমান হিসেবে থাকাকালে তার স্বামী মেজর জিয়ার আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় স্বাধীন বংলাদেশে জিয়া তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চাননি।

‘বঙ্গবন্ধু বেগম জিয়াকে নিজের কন্যাতুল্য বলে উল্লেখ করে তাকে গ্রহণ করার জন্য মেজর জিয়াকে আদেশ দিলে তিনি বাধ্য হন বেগম জিয়াকে গ্রহণ করতে।’

মেয়র প্রশ্ন করেন, বেগম জিয়া এই সত্য কীভাবে ভুলে গেলেন? ভুলে গেছেন বলেই তার পক্ষে সম্ভব হয়েছে পুত্র তারেক ও যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যা অপচেষ্টা চালানো।

শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে বন্দর থানা জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির উদ্যোগে পোর্ট কলোনীস্থ মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, বেগম জিয়া প্রকৃত মানুষ কি-না সন্দেহ আছে। কারণ কোন মানুষের ৬টা জন্মদিন হয় না। তিনি ৯১ সালে ক্ষমতায় গিয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসকে খাটো করতে হঠাৎ করে কেক কেটে নিজের জন্মবার্ষিকী পালন করা শুরু করেন। ইতিহাস কখনো মিথ্যা, প্রতারক, প্রবঞ্চক ও ব্যাভিচারীকে ক্ষমা করে না। ভুয়া জন্মদিন পালনের দায়ে বেগম জিয়া অবশ্যই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।

তিনি বলেন, মেজর জিয়া আসলেই মুক্তিযোদ্ধা কি-না সে প্রশ্নও উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর আগেই সোয়াত জাহান থেকে পাকিস্তানি অস্ত্র খালাস করতে গিয়ে ছিলেন। তারপর পটিয়া থেকে তাকে ধরে এনে বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়। সেখানেও অনেক নাটক করেন তিনি।

‘স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু তাকে সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান করেন। কিন্তু তিনি চেয়ে ছিলেন প্রধান হতে। তাই নাখোশ জিয়া তলে তলে ষড়যন্ত্রের জাল বুনেন। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের সাথে আগে থেকেই জিয়ার সখ্যতা ছিলো। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যর পর জিয়া ঘাতকদের রক্ষায় ইনডেমেনিটি বিল পাশ করেছিলেন।’

চসিক মেয়র বলেন, এতেই প্রমাণিত হয়, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার মুখ্য সুবিধাভোগী। তার মরণোত্তর বিচার হওয়া প্রয়োজন। একইভাবে গ্রেনেড হামলার প্রধান কুশীলব তারেক জিয়ার ক্যাপিটাল পানিস্টমেন্ট ও বেগম জিয়ারও বিচার হওয়া উচিত।

যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবুর সভাপতিত্বে ও বন্দর সিবিএ সাধারণ সম্পাদক নেয়াবুল ইসলাম ফটিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবদুল মান্নান। এতে আরো বক্তব্য রাখেন মোকাররম হোসেন মুকুল, জাকের আহমদ খোকন, আনিসুর রহমান লিটু, সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী পাভেল প্রমুখ।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর