ই-অরেঞ্জের ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি
ডেস্ক নিউজ: রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার তথ্য উদঘাটন করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে ভ্যাট আইনে তাদের নামে মামলা দায়ের করে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে মর্মে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে গত ৮ জুন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ই-অরেঞ্জের গুলশান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ভ্যাট গোয়েন্দারা দেখতে পায়, ই-অরেঞ্জ অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে। কিন্তু তাদের প্রাপ্ত কমিশনের ওপর আরোপণীয় ভ্যাট যথাযথভাবে জমা দেন না। অভিযানের সময় প্রতিষ্ঠানের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে হিসাব বিবরণী জব্দ করা হয়।
এতে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে মোট ২৪৫,৭৫,৫৩,২১৫ টাকার সেবা/পণ্য ক্রয় করে এবং ২৪৯,৬৩,৪৭,৭১০ টাকার সেবা/পণ্য বিক্রয় করে। উক্ত সেবা/পণ্য বিক্রয়ের উপর ই-অরেন্জ ৩৮,৭৯৮,৪৯৫ টাকা কমিশন লাভ করে। প্রাপ্ত কমিশনের উপর ৫ শতাংশ হারে নির্ণীত ভ্যাটের পরিমাণ ১৯,৩৯,৯২৪.৭৫ টাকা প্রযোজ্য হলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মাত্র ৬,২৩,৭৬৭ টাকা পরিশোধ করেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে। এতে সরকারের ১৩,১৬,১৫৮ টাকা ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে।
বিক্রয় তথ্য গোপন করায় এবং ভ্যাট ফাঁকির সহিত জড়িত হওয়ায় ই- অরেঞ্জ ভ্যাট আইন লংঘন করেছে। অভিযানের সূত্র ধরে আজ ই- অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।
মামলার প্রতিবেদন এখতিয়ারাধীন ঢাকা উত্তরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে উত্তরে পাঠানো হয়েছে।
আরএস/এমআই