chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘ভাসানচর’ নিয়ে বই প্রকাশ

ডেস্ক প্রতিবেদন: দ্য ডেইলি স্টারের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আলমাসুম মোল্লার নতুন বইভাসানচর: সাগরে নগরপ্রকাশিত হয়েছে একসময়ের ডাকাত জলদস্যুদের অভয়ারণ্য এবং গবাদি পশুর চারণক্ষেত্র ভাসানচরে আবাসস্থলের ব্যবস্থা করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য এর পর থেকেই ছোট দ্বীপটি আলোচিত হয়ে উঠেছে

পরিবেশ, রাজনীতি ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক আল-মাসুম মোল্লা জানান, ভাসানচর নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনাসহ অসংখ্য প্রতিবেদন বের হলেও, চরটি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কোনো বই এটাই প্রথম।

মেঘনা নদী দিয়ে প্রবাহিত পলিমাটি দিয়ে বঙ্গোপসাগরের বুকে গত বিশ বছর ধরে তৈরি হয়েছে দ্বীপটি। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি টেকনাফ ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ওই অঞ্চলের বেশ কিছু অস্থিতিশীল দ্বীপের মধ্যে অন্যতম ছিল ভাসানচর। রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য কর্দমাক্ত ও জনমানবহীন এই চরটিতে ভবন, গ্রাম, হাসপাতাল ও মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সরকারের এ উদ্যোগ বিভিন্ন সময়ে বাঁধার মুখে পড়েছে।

রোহিঙ্গা নেতাদেরও আপত্তি ছিল ভাসানচরের বিষয়ে। নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এটিকে ‘আসন্ন মানবাধিকার ও মানবতার দুর্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

গত দেড় বছর ধরে এ প্রকল্পের কাজ চললেও, রোহিঙ্গা নেতা ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে দ্বীপটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

মাসুম মোল্লা বলেন, ‘দ্বীপটিতে বেশ কয়েকবার সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি, এ বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। সেক্ষেত্রে, কোনো ধরণের বিতর্ক দেখা দিলে তা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাসানচরে মানুষের জীবনযাত্রা কেমন হবে এবং কীভাবে তা ক্যাম্পের জীবনমানের চেয়ে অনেক উন্নত হবে, তার একটি নির্ভুল চিত্রায়নের মাধ্যমে আমি চেষ্টা করেছি মানবাধিকার কর্মী ও আন্তর্জাতিক সংস্থাদের কাছ থেকে আসা অভিযোগগুলো খণ্ডন করার।’

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০২১ সালে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর ‘অ্যান আইল্যান্ড জেল ইন দ্য মিডল অফ দ্য সি: বাংলাদেশ’স রিলোকেশন অফ রোহিঙ্গা রিফিউজিস টু ভাসান চর’ নামের একটি ৭৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

লেখক মাসুম মোল্লা বলেন, ‘আমি আশা করছি এই বইটি বিশাল এই প্রকল্পের ব্যাপারে ভুল ধারণা ও তথ্যের অভাব অনেকাংশে দূর করবে। যেহেতু, আমি ভাসান চরে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি, সেখানকার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে ভালভাবে জানে এমন অল্প কিছু মানুষের মধ্যে আমি একজন। সেটিই আমি আমার বইতে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।’

এটি মাসুমের লেখা দ্বিতীয় বই। গত বছর তার ‘আপত্তি সত্ত্বেও’ নামে একটি রাজনৈতিক কবিতার বই প্রকাশিত হয়। লেখকের এক যুগেরও বেশি সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি দ্য ডেইলি স্টার ছাড়াও ঢাকা ট্রিবিউন ও ডেইলি সানে কাজ করেছেন।

‘ভাসানচর: সাগরে নগর’ বইটি প্রকাশ করেছে আগামী প্রকাশনী। বইটির বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ রকমারির ওয়েবসাইট থেকে প্রি অর্ডারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যাবে।

সুত্র: দ্য ডেইলি স্টার/এনএনআর/চখ

এই বিভাগের আরও খবর