chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনাকালে এডিস মশার প্রজনন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে: রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাকালে এডিস মশার প্রজনন ও এর প্রভাবে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে মেয়রের কার্যালয়ে বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন নাগরিক সমাজের এক প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় মেয়র বলেন, এডিসের প্রজনন নিধন করা একা চসিক বা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা। এডিসের লাভা জন্মায় অপরিচ্ছন্ন, স্থির ও জমাট পানিতে। বাসা-বাড়ির আঙ্গিনার নানান স্থানে এ ধরনের জমাট পানি থাকে। এগুলো চসিক বা কোন সংস্থার লোকজন গিয়ে সরানো বা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়।

‘এই কাজটি করতে হবে বাড়ি-ঘরে বসবাসকারী পরিবারকে। বাড়ির ছাদ, কার্ণিস এবং ভেতরের আনাচে-কানাছে বেশি সময় ধরে যাতে পনি জমে না থাকে সেদিকে তাদেরকেই লক্ষ্য রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও চট্টগ্রামে এই প্রকোপ ঢাকার তুলানায় অনেক কম। এ ক্ষেত্রে চসিকের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তবে জনসচেতনতার ক্ষেত্রে বেশ ঘাটতি রয়েছে। এই দায়িত্বটি গণমাধ্যম ও সচেতন সুশীল সমাজকেই পালন করতে হবে।

বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশা থেকে। এই এডিস মশা সাধারণ মশার চেয়ে অন্যামাত্রার অভিজাত পর্যায়ের। যত্রতত্র স্থান তাদের পছন্দ নয়। তাই বাসা-বাড়িই তাদের প্রথম পছন্দ। সুতরাং বাসা-বাড়িতে বসবাসকারীরা এই বিষয়টি মাথায় রেখে যদি সচেতন হন তা হলে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পাবে না।

উল্লেখ্য, চসিক নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি এডিস মশা বিস্তার প্রতিরোধে বাড়তি পদক্ষেপ হিসেবে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও একশ স্প্রেম্যান দ্বারা ৪১টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী কার্যক্রম চলমান রেখেছে বলে মন্তব্য করেন মেয়র।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-হাসান মারুফ রুমি, অধ্যাপক মো. আমির উদ্দীন, দিলরুবা খানম প্রমুখ।

ইনি/চখ/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর