chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিলুপ্তির পথে নগরের ১৩৭ প্রজাতির উদ্ভিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৃতির রাণী বলা হয় চট্টগ্রামকে। বহুকাল থেকে অপরূপ নৈসর্গ্যের এই জনপদ পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, জলাশয়ের আবহে পরতে পরতে প্রকৃতির সৌন্দর্যের পসরা। কান পাতলেই পাহাড় থেকে ভেসে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখির ডাক।

সময়ের পরিক্রমায় এখানে গড়ে উঠেছে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। উন্নয়ন গতিকে ত্বরাণ্বিত করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রকতির ওপর আঘাত এসেছে। অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিচালনা করতে গিয়ে পাহাড় নিধন ও বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের ১৩৭ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে রয়েছে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ইফেক্টিভ ক্রিয়েশন অন হিউম্যান ওপেইনিয়ন (ইকো) নামের একটি সংস্থা।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ইকোর’র সংবাদ সম্মেলনে নগরের ২০টি স্থানে গবেষণা তথ্য তুলে ধরা হয়। গবেষণায় এসব এলাকায় কত প্রজাতির উদ্ভিদ, ওষধি উদ্ভিদ, বিপন্ন প্রজাতি বিলুপ্তির পথে রয়েছে এসব পর্যোলোচনায় আনা হয়। একই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার সভাপতি মো. সরওয়ার আলম চৌধুরি মনি, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শাহেদ মুরাদ সাকু ও এস এম আবু ইউসুফ সোহেল মার্চে এই গবেষণা শুরু করেন। দীর্ঘ সময় ধরা চলা গবেষণা দলটির নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল। সহযোগিতায় ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অবিলম্বে পাহাড় নিধন, পাহাড়ে অপরিকল্পিত বসবাস ও স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করেতে হবে। পরিবেশর ভারসাম্য ঠিক রাখতে ৪৯৫ টি উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। না হয় অনেক উদ্ভিদ হারিয়ে যাবে। একইসঙ্গে পরিবেশ বিনষ্ট হবে।

গবেষণায় নগরের সর্বমোট ৪৯৫ প্রজাতির উদ্ভিদ রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে বড় বৃক্ষ ১৭৭ প্রজাতি, গুল্ম জা্তীয় প্রজাতি ৮৬, বীরুৎ জাতীয় ১৭৯ প্রজাতি, লতা জাতীয় উদ্ভিদ ৫৩ টি প্রজাতি পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৪১ টি প্রজাতি বিদেশী এবং ৩৫৪ দেশীয় প্রজাতি। ৩৬৬ টি প্রজাতি পাওয়া গেছে যেগুলো ওষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। বিপন্ন প্রায় ১৩ টি প্রজাতির উদ্ভিদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সংরক্ষণ করা না হলে ১৩৭ এর প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ৩০ এর অধিক প্রজাতি সনাক্ত করা হয়নি।

আরকে/এমআই